শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, বিক্ষোভও হলো

নিউইয়র্ক সফরের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভও হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালের অধিবেশনে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে বক্তব্য দেন।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে আগেই শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনারা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে একই সময় বিক্ষোভের আহ্বান জানায়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সদর দপ্তর সংলগ্ন নির্ধারিত এলাকায় সকাল থেকে নিউইয়র্ক পুলিশের অতিরিক্ত টহল দেখা যায়।
সকাল থেকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে নির্ধারিত সমাবেশ এলাকা। বিশাল ব্যানার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। দূর থেকে আসা দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের স্লোগানে এলাকাটি মুখরিত হয়ে ওঠে। দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহামান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ এ শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের অর্জন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যকে ম্লান করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে।একই সময় বিএনপি ও সমমনারা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন। ছবি: প্রথম আলো
অন্যদিকে হলুদ টি-শার্ট পরা বিএনপির সমর্থকেরা পূর্বনির্ধারিত এলাকায় এসে বিক্ষোভ করেন। টি-শার্টে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার বিরোধী নানা ধরনের স্লোগান লেখা ছিল। দুপুরের মধ্যে জমায়েত বড় হয়ে ওঠে। বিএনপির সমর্থকেরা থেমে থেমে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশে বিএনপির নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ, আবু সাঈদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁদের বক্তব্যে দেশে গণতন্ত্র নেই, শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশে দমন নিপীড়ন হচ্ছে, খুন-গুম করে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে—এমন সব অভিযোগ তোলা হয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।
ম্যানহাটনের ফল বিক্রেতা প্রবাসী ফখরুল ইসলাম  বলেন, দেশের লোকজনের এমন কর্মকাণ্ডে তিনি লজ্জা বোধ করছেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক  বলেন, বিদেশে যারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ব্যস্ত, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রশ্ন রাখতেই পারে।

বিএনপির নেতা জিল্লুর রহমান প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বলেন, যাঁরা মনে করছেন দেশটিতে তাঁদের একচেটিয়া রাজত্ব, তাঁদের সময় সংকুচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু দেশে নয়, বহির্বিশ্বেও ভাঁওতাবাজির রাজনীতি শুরু করেছে।




৩ thoughts on “শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, বিক্ষোভও হলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *