মুক্তিপণের জন্য তরুণীকে নিয়ে

নারায়ণগঞ্জ: তরুণীটির নাম তাজমিম বাশার ঐশী (১৬)। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল গত ২০ সেপ্টেম্বর। অপহরণকারী যুবকরা একই এলাকার বাসিন্দা। তারা ওই তরুণীকে অপহরণ করে প্রথমে নিয়ে যায় কুষ্টিয়ায়। এরপর মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

একদিকে চাওয়ামাত্রই মুক্তিপণ না পাওয়ার ক্ষোভ আর অন্যদিকে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়। এ দুটোই তাদের তাড়া করে। দুদিন পর তারা তরুণীকে নিয়ে চলে যায় সিলেটে। কিন্তু বিকাশে মুক্তিপণ আর আসে না। তাই তারা আস্তানা পরিবর্তন করে চলে যায় হবিগঞ্জে। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায়। এসব এলাকায় তরুণীকে আটকে রেখে দু’যুবক দাবি করে আসছিল ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ।

এই ফাঁকেই তরুণীর খালা পলি বেগম মিরপুর মডেল থানায় অপহরণের বিষয় উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে র‌্যাব সদস্যরা। অপহরণকারীদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান শনাক্ত করে র‌্যাব কর্মকর্তারা।

অবশেষে গত মঙ্গলবার রাত দুটার দিকে ফতুল্লার পাইলট স্কুল এলাকাতে অভিযান চালায় নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ টিম। তারা উদ্ধার করে অপহৃত তাজমিম বাশার ঐশীকে। এসময় আটক হয় অপহরণকারী মিরপুরের পূর্ব মনিপুর এলাকার জনহশু ফলিয়ার ছেলে জয় বাঁধন ফলিয়া (২৩) ও মিরপুর সেনপাড়া এলাকার চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে জেভিয়ার অভিজিৎবিশ্বাস (২২)।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন তালুকদার জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ঐশী তার মিরপুরের বাসা থেকে তার নানার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় জয় বাঁধন ফলিয়া তার সহযোগী জেভিয়ার অভিজিৎ বিশ্বাসের সহযোগীতায় ঐশীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তারা অপহৃতকে কুষ্টিয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় আটকে রেখে ঐশীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তারা মুক্তিপণের টাকা দ্রুত বিকাশ করে পাঠাতে বলে।

সালাহ্ উদ্দিন তালুকদার আরো জানান, ভিকটিমের খালা পলি বেগম মিরপুর মডেল থানায় জিডি করার অভিযানে নামে র‌্যাব।

৪ thoughts on “মুক্তিপণের জন্য তরুণীকে নিয়ে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *