ঢাকা: ১৩ বছরে বখে যাওয়া বেয়ারা ছেলেকে উচিত শিক্ষা দিতে মায়ের লেখা খোলা চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুলেছে। অনেকে এটাকে ‘টাফ লাভ’ লেটার বলে ও আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন বেয়ারা ছেলেকে শায়েস্তার করার মোক্ষম উপায় খুঁজে নিয়েছেন মা।
সম্প্রতি অবুঝ ছেলেকে বাধ্য করতে জনসন ছদ্মনামে এক নারী তাদের ছেলের উদ্দেশ্যে হাতে লেখা একটি চিঠি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবিটি পোস্ট করা মাত্রই লাইক আর শেয়ায়ের ধুম লেগে যায়। ইতোমধ্যে ছবিটি প্রায় ৮৭ হাজারেরও বেশি লাইক এবং দেড় লাখের বেশি শেয়ার হয়েছে।
ঐ নারীর ছেলের নাম অ্যারন। তিনি ছেলেকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, ‘প্রিয় অ্যারন, তুমি হয়তো ভুলে গেছ তোমার বয়স মাত্র ১৩ এবং আমি তোমার মা। কিন্তু তুমি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছ। আমার ধারণা তোমার স্বাধীনতা সম্পর্কে আরও শিক্ষা প্রয়োজন।’
ঐ নারী তার ছেলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠিতে আরও লেখেন, ‘তুমি আমার মুখের ওপর বললে, তুমি এখন পয়সা আয় করতে শুরু করেছ। তোমার উপার্জন দিয়ে তোমার জন্য আমার কেনা সব জিনিসপত্র তুমি নাকি কিনতে পারো। তোমার যদি তাই মনে হয় তবে তুমি এখন থেকে আমার সঙ্গে শেয়ার করা সব জিনিসপত্র এবং অন্যান্য সব খরচ বহন করবে।’
রুমমেটের মত শেয়ার করে থাকতে হলে কি কি খরচ হবে সেটাও চিঠিতে এ নারী উল্লেখ করেছেন। তিনি রীতিমত একটি ফর্দ তৈরি করেছেন। তাতে লেখা আছে, বাড়ি ভাড়া বাবদ অ্যারনকে দিতে হবে ৪৩০ ডলার, বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১১৬ ডলার, ইন্টারনেট বিল বাবদ ২১ ডলার এবং খাবার বাবদ ৫০ ডলার। সবমিলিয়ে অ্যারনের খরচ পড়বে ৭১৭ ডলার।
এসব খরচ ছাড়াও মায়ের সঙ্গে অ্যারনের থাকলে সাংসারিক কাজ করতে হবে। চিঠিতে অ্যারনের মা লেখেন, ‘তোমাকে সপ্তাহে তিনদিন অথাৎ শুক্র, সোম এবং বুধবার ময়লার ঝুড়ি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসতে হবে।’
এই তিনদিন ঘরদোর সাফ-সুতোরও করতে হবে। অবশ্যই টয়লেট পরিস্কার করতে হবে। খাবার তৈরি করতে হবে। এসব করতে ব্যর্থ হলে অ্যারনকে গৃহপরিচারিকার ফি বাবদ প্রতিদিন আর ৩০ ডলার গুনতে হবে। যা তাকে অবশ্যই দিতে হবে ।
তবে চিঠির নিচের অংশে ঐ নারী সন্তানের ওপর দরদ দেখিয়ে লিখেছেন, তুমি যদি অামাকে রুমমেটের পরিবর্তে মা মনে করো তবে আসো আমরা আলোচনায় বসি।
জনসন ছদ্মনামের ঐ নারী আরেকটি পোস্টে জানিয়েছেন, এই চিঠি তার ছেলের দৃষ্টিগোচড় হয়েছে। তার ছেলের মনোভাব কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
এদিকে চিঠিটি নিয়ে ফেসবুক এবং টুইটারে আলোচনা এবং সমালোচনা দুটোই হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ মানুষই ঐ নারীর পক্ষ নিয়েছেন। তারা ঐ নারীর বখে যাওয়া সন্তানকে শায়েস্তা করার জন্য এটাকে যুগোপযোগী পন্থা বলে ভাবছেন।
Chonchol Talukder liked this on Facebook.
Osman Osman liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Jahangir Kabir liked this on Facebook.
Nazia Ahmed liked this on Facebook.
Rezina Akhter liked this on Facebook.
Moubashir Ahmed liked this on Facebook.
Masud Rana Rana liked this on Facebook.
Tarek Ahmed liked this on Facebook.
Showkat Hossain liked this on Facebook.
Muhammed Sumon liked this on Facebook.
Shopna Hossan liked this on Facebook.
Rubel Masum liked this on Facebook.
Mahfuzur Rahman liked this on Facebook.
Tamanna Tazrin liked this on Facebook.
Auk Shahir liked this on Facebook.
Mohd Quayum liked this on Facebook.
Abdul Khalek liked this on Facebook.