সংযুক্ত আরব আমিরাত যুবলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল শরাজায় সংবাদ সম্মেলন করেছে আমিরাত আওয়ামী যুবলীগ। এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ইউএই যুবলীগের নেতৃবৃন্দ সাম্প্রতিক চট্টগ্রামের শেরশাহ কলোনিতে দুষ্কৃতিকারীর গুলিতে নিহত মেহেদী হত্যাকাণ্ডের সাথে আমিরাত যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম শফিকুল ইসলাম ও যুগ্ন সম্পাদক এস এম ইলিয়াসকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউএই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম বলেন, ‘শফিক ও ইলিয়াসের পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে এলাকায় জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা ও সম্মানক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে অসাধু মহলের উসকানিতে মেহেদীর পরিবার হত্যা মামলায় শফিক এবং ইলিয়াসকে জড়িয়েছে। প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে বিচাররের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির বিধান এবং যুবলীগ নেতা শফিক ও ইলিয়াসের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইসমাইল গনি চৌধুরী, ইউএই যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম, ইউএই যুবলীগের সহ-সভাপতি তাজ উদ্দিন, রাস আল খাইমা যুবলীগের সভাপতি প্রকৌশলী সুবোধ চৌধুরী, শারজাহ যুবলীগের সভাপতি এনামুল হক, দুবাই যুবলীগের আহ্বায়ক সমর শাহ, আবুধাবী যুবলীগের সভাপতি বশির ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘এলাকায় চাঁদাবাজির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হত্যার ঘটনা স্বার্থন্বেষী মহলের তৎপরতায় প্রবাসে অবস্থানরত জনপ্রিয় যুবনেতা শফিক ও ইলিয়াসের উপর তুলে দেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শফিক ও ইলিয়াস কোন ভাবে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। কেননা গত, ১২ ডিসেম্বর এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় যুবনেতা শফিক অনেকটা পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে। এই দূর্ঘটনায় ইউএই যুবলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ শফিক নামে একজন মৃত্যু বরণও করেছে। মৃত্যূর পথ থেকে ফিরে আসা যুব নেতা শফিকের প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও তার চিকিৎসা সেবা নিয়ে এবং তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিল ইউএই যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক শফিকের ছোট ভাই মোঃ ইলিয়াস। অথচ স্বার্থন্বেষী মহলের তৎপরতায় দুই নিরীহ ভাইকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।’
বক্তারা বলেন, ‘শফিক এবং ইলিয়াস দেশের রাজনীতির সথে সম্পৃক্ত নয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রাজনীতি করছে। সে হিসেবে মেহেদীর সাথে তাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকারও কথা নয়। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে হত্যাকান্ডের আগে ইলিয়াস দেশে অবস্থান করে, কিন্তু হত্যাকান্ডের সময় তারা দেশে থাকলে বা হত্যাকান্ডের পর বিদেশে পাড়ি দিলে পাসপোর্টে দুবাই ইমিগ্রেশনের সীল থাকতো! অথচ পাসপোর্ট প্রমাণ করে তারা আমিরাতের ছিলো। একটি পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই এ হত্যাকান্ডের সাথে তাদের জড়ানো হচ্ছে। আমরাও মেহেদী হত্যার বিচার চাই, নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানী না করে প্রকৃত দোষীদের বিচার হোক।’
সাইবার ইউজার দল পূর্বধুইর liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Sohel Rana liked this on Facebook.