টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এ সময় তিনজন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ২০ জন।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিকেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুড়লে এ সময় তিনজনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবি : এনটিভি
আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনার পর টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গুলিতে কেউ নিহত হয়নি।
নিহতরা হলেন কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের শামিম মিয়া ও শ্যামল (৩০)।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা স্থানীয় আলামিন ও তাঁর মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয় এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে প্রতিবাদকারীরা ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভকারীরা থানার দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পথে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। জনতা বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময়ই পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকটি গুলি ও টিআর শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় ২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন এবং টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো দুজন মারা যায়।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, কয়েকটি গ্রাম থেকে দু-তিন হাজার লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে থানার দিকে আসতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুজন কনস্টেবল মারাত্মকভাবে আহত হন। বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে।
কিন্তু পুলিশের গুলিতে কেউ নিহত হয়নি দাবি করে ওসি আরো বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের মধ্যেও দ্বিধাবিভক্তি ছিল। তাদেরই আঘাতে কেউ মারা গিয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি। তিনি জানান, মা-ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মূল হোতা হাফিজ উদ্দিন ও রোমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন তিনি।
এ আর
ভাঙ্গা কূলা liked this on Facebook.
এম মনির হোসাইন liked this on Facebook.
Titu Bbl liked this on Facebook.
Noim Uddin liked this on Facebook.
Bd polic ki kokhonoi valo hobe na????????
Rh Robi liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.
Saiful Islam liked this on Facebook.
অচেনা কেউ liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Shamsul Islam liked this on Facebook.
Md Arsad liked this on Facebook.
Vai Abdullah liked this on Facebook.
Noor Islaam liked this on Facebook.