জাসাস নেতা জাহাঙ্গীর শিকদারের আবারো হুংকার

আজ ১৭’ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ ইং সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এ্যাডভকেট আইয়ুব আলী মজুমদার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাসাস ঢাকা মহানগর (দঃ) এর সভাপতি জনাব আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক খালেদ এনাম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এস হোসেন টমাস, সহ-সভাপতি মাহতাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন, হারুন আর রশিদ, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মোহাম্মদ শাহ্‌ আলম শিকদার, আরিফা আক্তার, শারমিন সুলতানা, মিজানুর রহমান মিজান ও জাসাসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর শিকদার তার বক্তব্যে বলেন, “দলের হাই কম্যান্ড থেকে নির্দেশে দলকে সম্পুর্ন ঢেলে সাজানোর পক্রিয়ার উদ্দেশেই জাসাসের সকল থানা ওয়ার্ড গুলোকে সংস্কার ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে তৃনমূল ও যথাযথ স্তর থেকে সব চাইতে গ্রহণ যোগ্য, সাহসী, বলিষ্ঠ ও জনপ্রিয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্য থানার ওয়ার্ড কমিটি ঘঠন করা হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য ঈদের আগেই সকল থানা কমিটি গুলো গঠন করে ঘোষণা দেয়া এবং আমরা ইতিমদ্ধে বেশ কয়েকটি থানা ওয়ার্ডের কমিটি ঘোষণা ও করে দিয়েছি। আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে, আমরা কি কখনো ক্ষমতায় ছিলাম না?! আমরা কি পারতাম না পুলিশি রাষ্ট্র হিসাবে এই দেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে?! আপনারা আজ যা যা করে চলেছেন আমরা একি কাজ করতে পারতাম কিন্তু আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, আমাদের চেতনা সর্বদা জনকল্যাণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের জন্য। মুলত এই কারনেই আমরা আপনাদের মতো স্বৈরাচারী হতে পারিনা। আমাদের নিজেস্ব স্বকীয়তা আছে। আপনাদের নিজেদের নামেরি তো কোন স্বকীয়তা নেই। যেমন আপনাদের দলের নাম আওয়ামীলীগ, আর এই আওয়ামীলীগ শব্দের উৎপত্তি পাকিস্তানে। বাংলা ভাষায় আওয়ামীলীগের শব্দের অর্থ কি আমি নিজেই জানি না কেননা বিএনপি বাংলাদেশ প্রেমী বাংলা শব্দই আমাদের দলের স্বকীয়তা। তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন আইন করেছে ৪৯২টি স্থানে কোরবানির পশু কোরবানি দেয়ার জন্য। কতো বড় আহাম্মক হলে এই ধরণের আইন করে। আসলে তাঁরা কাদের খুশি করতে এই সব করছে এটা সবাই বুঝে। গতবছর ঢাকাতেই কোরবানি হয়েছে ৩০ লাখের উপর গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগল, উট, দুম্বা। ঢাকাবাসীরা নিজ উদ্দেগে কোরবানি দেয়, তাতেই ঢাকাবাসীরা হিমশিমে পড়ে যায় বিধায় ঈদের দিন সহ টানা তিন দিন কোরবানি দিয়ে থাকে, সেখানে সিটি কর্পোরেশনের মতো অথর্ব এক সংস্থার তত্ত্বাবধানে মাত্র ৪৯২টি স্থানে এতো সংখ্যক কোরবানির পশু কোরবানি কখনই সম্ভব নয়। অনেকে বলছে সৌদীতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়া হয়, হাঁ এটা সত্যি কিন্তু আমাদের দেশ সৌদী আরবের মতো উন্নত না, সৌদীতে উট, গরু, মহিষ কোরবানি দেয়ার জন্য অটোম্যাটিক মেশিন আছে যার কারনে একটি গরু কোরবানি দিয়ে কোরবানি দাতার হাতে তা তুলে দিতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। আমাদের দেশে এই সকল কোন মেশিন নেই অতএব ভরশা করতে হবে কসাইয়ের উপর এবং যতো এক্সপার্ট কসাই হোক তাঁদের সময় লাগে একটি গরু কোরবানি দিয়ে কোরবানি দাতার হাতে তুলে দিতে মিনিমাম তিন ঘন্টা। সুতারাং আপনারা নিজেরাই এবার একটু হিসাব করে দেখুন কোন এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে এই সরকার। আমার সন্দেহ হচ্ছে কোরবানির ঈদে একটি লজ্জাকর ঝামেলা করার জন্নই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই আপনারা নিজ মেধা খাটিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন। সাড়া বিশ্বে যেখানে তেলের দাম অর্ধের চাইতে কম সেখানে এই সরকার দিনকে দিন তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম বারিয়েই যাচ্ছে। কার জন্য এই সরকার তেলের দাম কমাচ্ছে না?! দেশে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন সেক্টর গুলো চলেই তেলের সাহায্যে। এবং এই সকল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলীর মালিক এই সরকারের কোন না কোন লোক। অতএব বুঝতেই পারছেন গুটি কয়েক মানুষের পকেট আরো ভাড়ি করে সাড়া বাংলাদেশের মানুষের পকেট অমানবিক ভাবে ফাঁকা করে চলেছে। পাকিস্তানের মতো দেশে বিশ্ব বাজারের সাথে মিল রেখে দু বার বিদ্যুৎ এর দাম কমায় আর এই দেশের সরকার দেশপ্রেমের নামে বিদ্যুতের দাম বারিয়েই যাচ্ছে !! পরিশেষে আমি আবারো বলছি আওয়ামীলীগের পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছে, পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কেননা সত্যর বিজয় সুনিশ্চিত। তাই আসুন বেগম জিয়ার হাতকে আমরা আরো শক্তিশালী করে ডিজিটাল বাকশাল সরকারের পতন দ্রত তরান্বিত করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *