ঢাকা: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে আজ শনিবারও রাজধানীর ধানমণ্ডি, বনানী, কলাবাগানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী বছর থেকে ছাত্রদেরই ভ্যাট দিতে হবে অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীরা তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ভ্যাট প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধন করেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে ক্যাম্পাসের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান জানান, তারা আগামী তিনদিন সব ধরনের ক্লাস বর্জন করবেন। এর মধ্যেও ভ্যাট প্রত্যাহার না করা হলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
এদিকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাইশমাইল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে মুহূর্মুহু স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তারা শিক্ষাখাতে ভ্যাট আরোপের বিরুদ্ধে শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এদিকে একই দাবিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ অংশ আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বেসরকারি বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কের নামার আধা ঘণ্টা পর পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
কর্মসূচি প্রসঙ্গে “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” মুখপাত্র ফারুক আহমাদ আরিফ বলেন, সারাদেশ থেকে খবর পেয়েছি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেগুলোতে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। সর্বাত্মকভাবে ছাত্র ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। আগামী সোমবার পর্যন্ত ছাত্র ধর্মঘট চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটি প্রজ্ঞাপনে জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির ওপর সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট কর দিতে হবে। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। বৃহস্পতিবার সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এতে রাজধানী ঢাকা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভ্যাট দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে, শিক্ষার্থীদের নয়। বিকালে সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং রাতে জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনের ভাষণে একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তবে শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এ বছর ভ্যাট কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করা হয়েছে। আগামী বছর থেকে তা শিক্ষার্থীদেরই পরিশোধ করতে হবে।
Related
Sazzad Ahmed Shohag liked this on Facebook.
MD Shahab Uddin liked this on Facebook.
MadZy Anik MoLlick liked this on Facebook.
Homayun Dastagir liked this on Facebook.
Jafar Khan liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Rasidul Hassan liked this on Facebook.
Wasim Mollah liked this on Facebook.
Manoyar Hossain Shagor liked this on Facebook.