ঢাকা: দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৫০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বেলা ১১টার দিকে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে বেলা সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ জজ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
পুবালী বাংকের বৈদেশিক শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এইচ এম ইসমাইলকে জেরা করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক খান।
এছাড়া আসামিপক্ষে আরো উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়াসহ বিএনপি সমর্থিত অসংখ্য আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এ পর্যন্ত সাতজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরা হলেন- মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ, রেকর্ডিং অফিসার মাহফুজুল হক ভূঁইয়া, জব্দ তালিকার পাঁচ সাক্ষী সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইনসান উদ্দিন আহমেদ, ক্যাশ অফিসার শাহজাহান খান, জনতা ব্যাংকের সাত মসজিদ শাখার জিএম শেখ মকবুল ও ফাহমিদা রহমান এবং পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এস এম ইসমাইল।
সাক্ষিদের মধ্যে প্রথম চারজনকে আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা শেষ করেছেন। বৃহস্পতিবার শেষোক্ত তিন সাক্ষীর জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাতজন সাক্ষীর মধ্যে এ যাবৎ বাদী ও সাক্ষী হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে ওইদিন তাকে আসামিপক্ষের জেরা করেননি।
এ মামলায় অপর ছয়জন সাক্ষী হলেন- সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার হারুনুর রশিদ, অফিসার (ক্যাশ) শফিউদ্দিন মিয়া, আবুল খায়ের, প্রাইম ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দা নাজমা পারভীন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আফজাল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার এসব সাক্ষীদেরও আদালতে থাকার কথা রয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামিপক্ষের জেরা শেষ হলে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত বছরের ১৯ মার্চ ওই আদালতের তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এরপর ওই বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছিল খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই অনাস্থার মধ্যেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাকে বদলি করে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
Nazrul Islam liked this on Facebook.
Md Ratul Ahmed Redoy liked this on Facebook.
Ibrahim Khalil liked this on Facebook.
MG Azam liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Rajib Khan liked this on Facebook.
Homayun Dastagir liked this on Facebook.
Shamim Rohoman liked this on Facebook.
MD Babla liked this on Facebook.
Rumel Ahmed liked this on Facebook.