ঢাকা: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে অপসারণ করে সরকার বাজে নজির স্থাপন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির আন্তর্জাতিক বিয়ষক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিপন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে মির্জা আব্বাসকে অপসারণ করা হয়েছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের এরকম সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জোর দাবি জানান তিনি।
রিপন বলেন, ‘পল্টন থানায় একটি মামলায় মির্জা আব্বাস পলাতক রয়েছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ আছে বলে তারা জানিয়েছেন। কিন্তু পল্টন থানার কোনো মামলায় মির্জা আব্বাস পলাতক নেই। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করেছে।’
রিপন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাকের অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার কারণে যেখানে সরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এ কারণে তারা এ দায়ভার অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা সুরক্ষিত থাকতে চায় বিদায় অন্যান্য ব্যাংকগুলোর উপর চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বলতে চাই- আর্থিক ক্ষতি দেখে যেসব ব্যাংকগুলোকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে। সে দোষ থেকে আপনি নিজেও এড়িয়ে যেতে পারেন না।’
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তদারকি করার ব্যর্থতার দায় গভর্নরসহ কেউ এড়াতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন রিপন।
রিপন বলেন, ‘সরকার ১৩টি ননব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানকে সরকারি অর্থ আমানত রাখার অনুমোদন দিয়েছে। শাসকদলের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে অর্থ লোপাট করার পর নতুন করে লিজিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
রাজনীতিতে হামলা-মামলা করার পর এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরকার হস্তক্ষেপ করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের কুটকৌশল, নিকৃষ্ট পন্থা। বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে তা অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই, সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Sabbir Ahamed liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Asif Siddique liked this on Facebook.
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.
Md Sapon Taba liked this on Facebook.
বাগাতিপাড়া পৌর ছাত্রদল liked this on Facebook.
Ahmed Mosud liked this on Facebook.