হিযবুত তাহরীর (আরবি: حِزْبُ التَحْرِير) (বাংলা ভাষায়: মুক্তির দল) একটি ইসলামী মতাদর্শ ভিত্তিক রাজনৈতিক দল যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বাংলাদেশে ২০০১ সাল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে (২২ শে অক্টোবর) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক “জননিরাপত্তার স্বার্থে” -এ কারণ দেখিয়ে এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়। দলটি পৃথিবীর অন্য অনেকগুলো দেশেও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে।
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে এ দল প্রতিষ্ঠিত হয়। ইসলামী খিলাফত হচ্ছে সে ব্যবস্থা যা পৃথিবীতে ইসলামী শরীয়াহ-র বাস্তবায়ন করে থাকে এবং ‘দাওয়াত ও যুদ্ধের’ মাধ্যমে ইসলাম-কে পৃথিবীর বিভিন্ন সভ্যতার নিকট উপস্থাপন করে থাকে। হিযবুত তাহরীর মনে করে মুসলিম বিশ্বের সকল সমস্যার মূলে রয়েছে উম্মাহর মধ্যে খিলাফত ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং খিলাফত ব্যবস্থাই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শক্তির প্রতীক।
এখান পর্যন্ত ঠিকই আছে মনে হয় তাই না কিন্তু আসলে কিছুই ঠিক নাই। বিশ্বের অন্য জায়গার কথা বাদ দেই আমি শুধু বাংলাদেশে এদের অবস্থান নিয়েই বলবো। ২০০৯ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার পর মাঝে মাঝে লিফলেট বিতরণ পর্যন্ত এরা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আবার প্রকাশ্যে এসেছে এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনটি। গত ১৫ আগস্ট রাত থেকে তারা সারাদেশে পোস্টারিং করে এবং অনলাইনে প্রচার চালিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সম্মেলন করেন যেখানে তারা খেলাফতের কথা বলেন। মজার বিষয় ছিল এমন একটা কর্মকান্ড ঘটলো আর দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাওকারী বাহিনী তা বন্ধ করার কোন চেষ্টাও করলো না। আরও একধাপ এগিয়ে ৭ তারিখ হাইকোর্টের স্মাওনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলো সংগঠনটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ না থাকায় আসলেই সন্দেহে পরে গেলাম। ভিডিওটি দেখলে যে কেউ বুঝবে যে সময় বেধে দেয়া ছিল মিছিলের জন্য কারণ একজন এসে বলল ওকে চল আরা সবাই গায়েব হয়ে গেল। আর পুলিশের বক্তব্য তারা অবজার্ভ করছেন। বেশ ভাল কথা তারা অবজার্ভ করতে থাকুক আমরাও করি।
শুরুটা তাদের ব্যানার এবং পোস্টারের রঙ দিয়েই করি। তাদের পোস্টার এবং ব্যানারের রঙ কমলা বা গেড়ুয়া। যা ইসলামের সাথে কোনভাবেই যায় না। এই রঙ দুটো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন বৌদ্ধরা আর হিন্দু সাধকরা। কিছুটা গোলমেলে হয়ে গেলো কি ইসলামের প্রেমে মশগুল হিজবুত তাহরী। হ্যা এরা কখনওই ইসলামী সংগঠন না। আইসিস্কে যেমন বানানো হয়েছে এদেরকেও বানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে যখন বিডিআর বিদ্রোহ হয় তখন যে লোকটা মুখে রুমাল বেঁধে মিডিয়ার সাথে কথা বলেছিল তার মুখেও ছিল কমলা রঙ এর রুমাল। তার মানে ওখানেও কি হিজবুত তাহরির হাত ছিল। না সবাই জানে ওখানে ভারতীয় ‘র’ এর হাত ছিল। তার মানে কি এই হিজবুত তাহরী “র” এর তৈরি! আসুন একটু মিলাই।
‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ’ ভারতের একটি উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন। যাদের কাজই সবসময় ধর্মীয় উস্কানি দেয়া। তাদের পতাকার রঙ আর হিজবুত তাহরীর ব্যবহার করা ব্যানার আর পোস্টারের রঙ একই রকম। এর বেশি বলতে চাই না কারণ সবই যদি আমি বলি আপনাদের মাথা দিইয়ে তাহলে কি করবেন?
সিরিয়াতে আইসিস তান্ডব চালাচ্ছে আর তার সকল রশদ যোগান দিচ্ছে সৌদি, ইজরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র। আরও বাংলাদেশে যদি কোন এমন সংগঠন দাঁড় করানো যায় তবে লাভ হবে ভারতের কারণ সাহায্যের নামে আরও একবার তারা ঢুকবে বাংলাদেশের ভুখন্ডে। কাজেই এই ভূখন্ডের ঢকার জন্য ইতিমধ্যে তারা শুরু করে দিয়েছে তাদের কাজ আর তাতে সাহায্য করছে এদেশের সরকার কারণ নাহলে একটা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রধান সড়ক অবরোধ করে মিছিল করে কিভাবে। আর এর আগে কোনদিন আমি এমন দেখিনি যে হাইকোর্টের সামনে পুলিশ থাকে না। তার মানে সবই তো মনে হয় পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে শুধু মাত্র মাথাটা চালিয়ে একটু বোঝার চেষ্টা। আমাদের যুবসমজকে ধর্মের দোহায় দিয়ে এরা ব্যবহার করছে। যা এদেশের জন্য খুবই ভয়াবহ সংবাদ। এব্যাপারে কথাও হল এক হিজবুত নেতার সাথে কিন্তু বেচারা আসল জায়গা আটকে গেলো এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বাঁচলো।
লেখক: মুনওয়ার আলম নির্ঝর
27nirjhor@gmail.com
তালুকদার সাহেব liked this on Facebook.
probasnews24.com liked this on Facebook.
Raj Jony liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Milon Rahman liked this on Facebook.
lekhata porlei bujha jay onurbor mostisker lekha