ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারমান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘সরকারের অংশীদার যখন অভিযোগ তোলে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচিৎ।’
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ যে অভিযোগ করেছেন সেই অভিযোগ থেকে সরকার বাঁচতে পারবে না জানিয়ে রিপন বলেন, ‘সরকার প্রধানের বিশেষ দূত হিসেবে সব সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন এরশাদ। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি বলেছেন, দেশে অন্ধকার যুগ চলছে, ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। যখন তিনি এমন কথা বলেন, তা নিবন্ধিত হয়ে যায়। যেসব অভিযোগ বিএনপি আগ থেকেই করে আসছে।’
সম্প্রতি বিএনপির ছয় নেতাকে আটকের পর নিঁখোজ ও এক নেতাকে ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে রিপন বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের গুম ও অপহরণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে মহড়া চলছে এই আশঙ্কা আমরা আগেই করেছিলাম। সেই আশঙ্কাটাই সরকার এখন বাস্তবায়ন করছে।’
এসব ঘটনায় তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি দোষীদেরকে আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন রিপন।
রিপন আরো বলেন, ইউরোপের আয়লান নামের এক শিশুই সারা বিশ্বকে নাড়া দিলেও বাংলাদেশে মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধের ঘঠনায় সরকারকে নাড়া দেয়নি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে শ্বাসরুদ্ধকরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে দাবি করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গণমাধ্যমসহ কোনো প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে ভীতির বাহিরে কাজ করতে পারছেন না। তখনকার; মার্শাল ল’ সরকার যতটা সহ্য করতো বর্তমান সরকার তাও করে না। প্রতিবাদ করলেই গুম-গুলি করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতকর্মীদেরকে আটকের দুই তিন মাস পর গ্রেফতার দেখানো হয়। এটা সংবিধান স্বীকৃত নয়। এসব অধিকার সংবিধানে দেয়া নেই। সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব কাজ করে যাচ্ছেন।’ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মহামুদুল হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাম্মী আক্তার প্রমুখ।