চোর ও প্রতারক আনোয়ার পারভেজ রুবেলের ঠীকানাঃহায়িসং বিডি লিমিটেড, হিজলতলী(বড়ইপাড়া), কালিয়াকৈর, গাজীপুর।
Haesong BD Limited. (Yarn Dyeing Factory)
Haesong Complex, Hizalhati(Baroipara),Kaliakair, Gazipur, Bangladesh
Phone:880-6822-52110, 52115, 51990~91, 52149, 52150
Email : dyeing@haesongbd.com
ফেইক ফেসবুক আইডি আপনারা সবাই দেখেছেন। সেদিন একটি মামলার তদবীর করতে এসে দুইজন ভুয়া আইনজীবি আটক করা হয়েছে কক্সবাজারের সদর জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রিটে আদালতের কক্ষ থেকে। তারা নিজেদের সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার শামীম হায়দারের জনিয়র বলে পরিচয় দেয়। এই ভুয়া আইনজীবিরা হলো লাল মনির হাট সদরের তিজতা এলাকার মোঃ আফজাল আলীর পুত্র মোঃ সাফিনুল ইসলাম (২৫) ও গাইবান্দা জেলার সুন্দর গঞ্জ থানার চন্ডিশপুর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান (২৬)। সাফিনুল ইসলাম পুলিশকে তার ভুয়া আইনজীবি পরিচয়কে সত্য বলে প্রতিষ্টিত করতে পেরেছে টাকার বিনিময়ে কিন্তু মিজানুর রহমান পারেনি ফলে তাকে জেল খাটতে হচ্ছে।
আর একজন প্রতারক ভুয়া আইনজীবি জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীর। হাইকোর্টের বিচারপতি বা হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি পরিচয় দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম টাকা হাতিয়ে নিতো বিভিন্ন সরকারী কর্মচারীদের কাছ থেকে । জাহাঙ্গীর আলম দস্তগীরকে চকবাজার থানা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে আর কোনদিন প্রতারণা না করা ও প্রতারিতদের সবার টাকা ফেরত দেবার অঙ্গীকার করায় জামিনে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের শাহজাহান একজন ভুয়া সাংবাদিক ও আইনজীবি। এই পরিচয় দিয়ে স্থানীয় হাসপাতালের রোগীকে ব্ল্যাকমেইল করে তার মোবাইল ছিনতায় করার সময়ে গনপিটুনির শিকার হয়। শাহজাহান নিজেকে একজন আইনজীবি, সাংবাদিক ও পুলিশ পরিচয় দিয়ে চুরি, ছিনতায়, চান্দাবাজী ইত্যাদি করে থাকে।
এইরকম একজন ভুয়া আইনজীবি্র সিলমোহর লাগানো তালাকের এফিডেভিট পাই ২০১৪ সালে। তালাকের এফিডেভেট তৈরি করেছে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ২১-১২-২০১৩ সালে । প্রতারক আনোয়ার পারভেজ সীল বানিয়েছে এডভোকেট মোহাম্মদ আলী নাম দিয়ে। এডভোকেট মোহাম্মদ আলী নামে বাংলাদেশে যদি কোন এডভোকেট থেকেও থাকে সে ভদ্রলোক জীবনেও এই এফিডেফিটে স্বাক্ষর করেননি এবং প্রতারক আনোয়ার পারভেজের সাথে তার স্বাক্ষাত হয়নি।
প্রতারক আনোয়ার পারভেজ টাকার লোভে আমাকে বিয়ে করে লন্ডনে ২০১৩ সালে (প্রথমে জুলাই মাসে মসজিদে পরে ডিসেম্বর মাসে কোর্টে)। সেখান থেকে আমার দশ হাজার পাউন্ড নিয়ে পালিয়ে যায় বাংলাদেশে। প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ছাত্র ভিসা নিয়ে লন্ডন যায়। সেখানে সে আইনের সার্টিফিকেট ক্রয় করে। যে কলেজ থেকে সে আইনের সার্টিফিকেট ক্রয় করে সে কলেজের অপারেটিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে গেল সেই কলেজের সব গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যায় কারণ এই কলেজে কোন দিন কোন ক্লাস হয়নি বা হতোনা। লন্ডনে কাজের অনুমতি পাবার জন্য এই কলেজে পাউন্ডের বিনিময়ে সবাইকে নাম কা অয়াস্তে ভর্তি করে রেখে পরে টাকার বিনিময়ে যার যেমন খুশী সার্টিফিকেট কিনতে পারে। গ্রেট বৃটেনে এমন ১৭ হাজার কলেজের অপারেটিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়।
প্রতারক আনোয়ার পারভেজের ভেতরে অপরাধ প্রবণতা থাকে ২৪/৭ – ৩৬৫ দিন। যে অপরাধ করা ছাড়া আর কিছু চিন্তা করতে পারেনা। অপরাধ তার রক্তে প্রবাহিত। সে বন্ধুদের গাড়ি চালাতো বিনা লাইসেন্সে। বিভিন্ন ঠিকানা থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সেখান থেকে খরচা করে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতোনা। বিভিন্ন ঠিকানাতে ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট এসে জমা হতো যা প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ছিড়ে ফেলে দিতো। আমি প্রতারকের সাথে ছিলাম মাত্র ২৫ দিন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে পনেরো দিন আর ডিসেম্বর মাসে ১০ দিন। প্রতারকের সাথে আমার ফোনে, স্কাইপে কথা হতো। আমার সাথে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ কোন দিন একটাও সত্য কথা বলেনি।
প্রতারক আনোয়ার পারভেজের বাপ সম্ভবতঃ কক্সবাজারের জাফর আলম। স্কাইপে এক লোকের সাথে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ আমার পরিচয় করিয়ে দেয় নিজে বাপ বলে। আমি জানিনা সে জাফর আলম কিনা বা জাফর আলম বলে কোন লোক তার পিতা কিনা। এক মহিলার সাথেও আমার পরিচয় করিয়ে দেয় যার সাথে প্রতারক আনোয়ার পারভেজের চেহারার মিল থাকার কারণে আমি বুঝতে পারি এই মহিলা প্রতারকের মা। জাফর আলম নামের যে বাপের সাথে স্কাইপে প্রতারক আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় সেই লোকের সাথে প্রতারক আনোয়ার পারভেজের চেহারার কোন মিল নেই।
আমার থেকে পাউন্ড মেরে দিয়ে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ ঢাকাতে পালিয়ে গেলে আমাকে মিথ্যা করে বলে যে কলেজে ভর্তির জন্য সে এই টাকা লন্ডনের দালালদের দিয়েছে যারা নাকি বাংলাদেশে তাকে এই টাকা ফেরত দিলে সে আমাকে আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। জুন ২০১২ সালে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ আমাকে বলেছিল সে আইনে মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ । ঢাকাতে পালিয়ে এসে বলে সে আসলে আমাকে মিথ্যা বলেছিল। সে এখন ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
খেতে পায়না, দারিদ্রতা, ইত্যাদি অজুহাতে প্রতারক আমার থেকে আরো ৩০০০০ টাকা নিয়ে নেয়। কস্টে দিন কাটছে। কাজ পাচ্ছেনা। গ্যাসের সিলিন্ডার কিনবে, পেঁয়াজ কিনবে, ডাল কিনবে, রোজার মাসে মাকে কাছে এনে রাখবে এইসব গালগল্প করে সে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। তখন প্রতারক আনোয়ার পারভেজ থাকতো অনুশবাগে।
গাজীপুরে কোন কোর্টে ভুয়া উকিল হিসাবে প্রতারক আনোয়ার পারভেজ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগে সে কানাডা, সিংগাপুর, মালইয়েশিয়া পাঠাবে বলে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। মোহাম্মদ আলী এডভোকেটের সীলমোহর এর ছবি উপরে দেওয়া গেল। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের হাতের লেখা আর মোহাম্মদ আলীর হাতের লেখাতে মিল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতারক আনোয়ার পারভেজের রিপোর্ট কার্ডের ছবিও উপরে দেওয়া হলো। এই রিপোর্ট কার্ডও বাসাতে বানানো। আনোয়ার পারভেজ বলে কোন ছাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রোল, এই বিভাগে পড়েনা। ভুয়া স্বামী, ভুয়া উকিল, ভুয়া এডভোকেট, ভুয়া ছাত্র, ভুয়া আইনজীবি। প্রতারক আনোয়ার পারভেজের যা কিছু পরিচয় সবই ভুয়া, মিথ্যা।
কোন আইনজীবিকে টাকা দেবার আগে আর তিনজন আইনজীবির কাছে জেনে নিন এই আইনজীবি আসলেই আইনজীবি কিনা। ফেসবুকের ভুয়া আইডি আপনার যেমন ক্ষতি করবে তেমনি ভুয়া পুলিশ, ভুয়া সাংবাদিক, ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া আইনজীবি আপনার ক্ষতি করবে।
বাজারে খাদ্যে ফরমালিন।
আদালতে ভুয়া আইনজীবি।
হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার।
থানায় ভুয়া পুলিশ।
কোথায় যাবেন আপনি? আগে আমি ভাবতাম আমি একাই প্রতারিত হয়েছি। এখন দেখছি সাড়া বাংলাদেশে পাতা রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ।
Omar Faruk Sagor liked this on Facebook.
HN Mehedi liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.