সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানের প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক খাদ্য পানীয় ও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে এমন একটি খবর স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। খবরের সূত্র ধরে আজমানে ওই বাংলাদেশি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালেন দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও সৈয়দ আহাদ ফাউন্ডেশনসহ বেশ কিছু সংগঠন।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে ওই শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান, আহাদ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন সৈয়দ আবু আহাদ, আল বোরাক গামেন্টস এলএলসির মালিক মাজহারুল ইসলাম মাহবুব ও তার স্ত্রী আঁখি।
সূত্র মতে, একই মালিকানাধীন এসা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেরিন সার্ভিসেস এলএলসি ও এঅ্যান্ডপি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন এলএলসি নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা গত ৮-৯ মাস বেতনসহ সকল সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত রয়েছেন। এছাড়া অধিকাংশ শ্রমিকের ভিসার মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ভিসা নবায়নের কথা বলা হলেও ব্যবসায়ী লোকসানের অজুহাতে কোম্পানি ভিসা নবায়নের ব্যবস্থা করছে না। এমনকি ন্যায্য বেতনাদি পরিশোধের ভয়ে কেনসেল করেও শ্রমিকদের দেশে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। যার ফলে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন অসহায় এসব শ্রমিক।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়া শ্রমিকরা জানান, ‘আমরা আমিরাতের লেবার মিনিস্ট্রিতে অভিযোগ করেছি। বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়াধীন থাকায় এবং অধিকাংশ শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় দেশেও ফিরে যেতে পারছি না। গত ৮-৯ মাসের বেতন বকেয়া থাকায় নিজ উদ্যোগে কিছু কিনে খাওয়ারও অবস্থা নেই। তার উপর কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ক’দিন আগে কোম্পানির ভারতীয় এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।’
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান জানান, আজমানের মানবেতর জীবন যাপন করা ওই দেড় শতাধিক শ্রমিকের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে তাদের দায়ের করা মামলার তাদারকি করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পানির ব্যবস্থা না থাকালেও বর্তমানে এ সমস্যা সমাধান হয়েছে। কেউ কেউ পার্টটাইম চাকরিও করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি এসব শ্রমিকদের জন্য কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে ৩৫০ কেজি চাল ও ৭৫ কেজি মশুরের ডাল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সৈয়দ আহাদ ফাউন্ডেশন ও আল বোরাক গার্মেন্টসের পক্ষ থেকে ১ হাজার কেজি চাল, ৩৬০ লিটার তেল ও ৮০ কেজি মশুরের ডাল প্রদান করা হয়েছে। এতে তাদের এক মাসের মতো চলে যাবে।
Anamul Haque Feni liked this on Facebook.
Homayun Dastagir liked this on Facebook.
Ramzan Fukir liked this on Facebook.
Hasan Dewan liked this on Facebook.
Saleem Khan liked this on Facebook.
Kabir Ahmed liked this on Facebook.
Reaz Uddin liked this on Facebook.
MadZy Anik MoLlick liked this on Facebook.
Pitan Barua liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Moin Khan liked this on Facebook.
Showkat Hossain liked this on Facebook.
Babu Macanic liked this on Facebook.
Ibrahim Khalil liked this on Facebook.
গাজী মোতালেব liked this on Facebook.
Hasan Hannan liked this on Facebook.
Mohammad Azim liked this on Facebook.
Md Nayim liked this on Facebook.
Jobayer Bappy liked this on Facebook.
Ðrêãm Wêãvêr Sûjõñ liked this on Facebook.
Idris Mazi liked this on Facebook.
Mohammad Sohel Rana liked this on Facebook.
Md Azizul liked this on Facebook.
Tauhid Rana liked this on Facebook.
Mb Hassan Md Hassan liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.
M Alam Morshed liked this on Facebook.
Muhin Ahmed Muhin liked this on Facebook.
Farhad Hossain liked this on Facebook.
Mohammed Anwar Biplob liked this on Facebook.
Rasuler Soinik liked this on Facebook.
Laltu Hossain liked this on Facebook.
Toriquzzaman Khan liked this on Facebook.
Monir Akbor liked this on Facebook.