যৌন ব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার অভিনেত্রীরা

ঢাকা: দেহব্যবসার অভিযোগে গতবছর গ্রেপ্তার হয়ে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন ফেলে দেন বলিউডি ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। তার এই গ্রেপ্তারের খবরে চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়। পরে অবশ্য তিনি এ অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পান। এরপর আবারো একজন বলিউড অভিনেত্রীর গ্রেপ্তারে প্রমাণিত হয় যে, অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক অভিনেত্রীই জড়িত দেহব্যবসায়। এর আগেও চলচ্চিত্র জগতের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এ ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

শ্বেতা বসু প্রসাদ গত বছরের শেষে বাঞ্জারা হিলসের একটি অভিজাত হোটেল থেকে শ্বেতা বসু প্রসাদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি জনৈক ব্যবসায়ীর শয্যাসঙ্গিনী হয়েছিলেন। অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ অবশ্য জানান, তিনি নির্দোষ। পরে আদালতের মাধ্যমে তিনি বেকসুর খালাসও পান। যমুনা বলিউডের আর এক নায়িকা যমুনাকে ২০১১ সালে ব্যাঙ্গালোর থেকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে তিনি পাঁচতারা হোটেলে সঙ্গ দিতেন। শ্রাবণী তেলুগু আবেদনময়ী নায়িকা শ্রাবণীকেও গত বছর দেহব্যবসার অভিযোগ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অন্ধ্রপ্রদেশের কয়েকজন মন্ত্রীও নাকি নিয়মিত তার সঙ্গ নিতো।

ভুবনেশ্বরী তামিল চলচ্চিত্রের সুপারস্টার ভুবনেশ্বরী। বাজে কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবরে চেন্নাইতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। নিজের মোহময়ী রূপ কাজে লাগিয়ে খদ্দের ধরতেন এ অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে এ জগতের উঠতি তারকাদেরও এ কাজে উৎসাহিত করতেন ভুবরেশ্বরী। প্রতিবেশীদের অভিযোগেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। সায়রা বানু তেলুগুর নায়িকা সায়রা বানুকে দেহব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর তিনি জামিনে ছাড়া পান। ঐশ আনসারি বলিউডের ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির অভিনেত্রী ঐশ আনসারি। যোধপুরের একটি হোটেল থেকে ২০১৩ সালে আপত্তিকর অবস্থায় তিনজন পুরুষের সঙ্গে ধরা পড়েন এ অভিনেত্রী। অভিযোগ, ভারতে বেড়াতে আসা বিদেশিদের সঙ্গ দিয়ে তিনি ডলার রোজগার করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *