ঢাকা: ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে বৃহস্পতিবারের (২৮ আগস্ট) নৌকাডুবির ঘটনায় তিন শিশু ও এক নারীসহ আট বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা গেছে নারী ও শিশুসহ ৪৬ জনকে।
মৃত আটজনের মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- রমজান আলী ( ৫৮), সানোয়ারা খাতুন (৪২), ইউসুফ (৭), রিমা আবদুল আজিম (২), রাইসা আবদুল আজিম (৮ মাস), আবুল বাশার (৪৭) ও তার মেয়ে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৭ আগস্ট ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলের কাছে পৃথক দু’টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত একশ’ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২০১ জনকে।
ইউরোপগামী এ অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ৫৪ জন বাংলাদেশি ছিলেন উল্লেখ করে আশরাফুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৪৬ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছেন বাকি আটজন। তবে, এ আটজনের সলিল সমাধি হয়েছে বলে মনে করছেন দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল।
তিনি বলছেন, দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ আজিমের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, ডুবে যাওয়া নৌকায় চারটি পরিবারেরই ২২ জন সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন, যাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নৌকায় ছিলেন আরও ৩২ বাংলাদেশি শ্রমিক। এদের মধ্যে নিখোঁজ রয়েছেন একজন, তারও মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও তার নাম জানা যায়নি।
আশরাফুল ইসলাম জানান, লাইফ জ্যাকেট পরে থাকার কারণে আট থেকে নয় ঘণ্টা ভেসে থাকার পরও বেশিরভাগ লোককে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
অবশ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ৪৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন দু’জন। আর জীবিত উদ্ধার করা গেছে ৩৬ জনকে।
উদ্ধারকারী লিবিয়ান কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রথম নৌকাটি ডুবে যায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে। এতে আরোহী ছিলেন প্রায় অর্ধশত। তারপরই ডুবে যায় দ্বিতীয় নৌকাটি। এতে আরোহী ছিলেন চার শতাধিক।
ত্রিপোলির জুয়ারা এলাকার এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ইউরোপ পাড়ি জমানোর উদ্দেশে অভিবাসন প্রত্যাশীরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সিরিয়া, মরক্কো ও সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন এলাকা থেকে এসেছিলেন।
মোহাম্মাদ ফখরুল ইসলাম liked this on Facebook.
Rajib Khan liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Ariful Islam Jony liked this on Facebook.