ঢাকা: লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে দুই শতাধিক অভিবাসীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে সিরিয়া, বাংলাদেশ ও সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিক রয়েছেন। এ পর্যন্ত ২০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লিবিয়ার উপকূলে যুয়ারা বন্দরের কাছে নৌকা দুটি ডুবে যায়। নৌকা দুটিতে প্রায় ৫০০ অভিবাসী ছিল। অবৈধ পথে তারা ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিল। খবর বিবিসি।
খবরে বলা হয়েছে, প্রথম যে নৌকাটি বৃহস্পতিবার সকালে সাহায্যের জন্য সংকেত দেয় সেটিতে ৫০ জনের মত অভিবাসী ছিল। দ্বিতীয় যে নৌকাটি পরে ডুবে যায় সেটিতে ছিল চারশ’র মত শরণার্থী।
লিবিয়ার কোষ্টগার্ড জানিয়েছে সেখানে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বেশিরভাগ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসির উত্তর আফ্রিকার সংবাদদাতা রানা জাওয়াদ তিউনিস থেকে জানাচ্ছেন, লিবিয়ার কোস্টগার্ডের সমুদ্রে এ ধরণের বড় মাপের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার সক্ষমতা নেই।
পশ্চিম ত্রিপলির যুয়ারা এলাকার একজন বাসিন্দা বিবিসি কে বলছেন, সেখানকার একটি হাসপাতালে অন্তত ১০০ টি মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই তথ্যটির সত্যতা এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘ বলছে, এ বছরে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে নৌকায় করে সমুদ্র পথে যাওয়ার চেষ্টা করলে এ পর্যন্ত দুই হাজার চারশ’র বেশি অভিবাসী মারা গেছে।
এদের অনেকেই লিবিয়ার রাজনৈতিক সংকটের কারণে মানবপাচারকারিদের সহায়তায় নৌকা যোগে বিপদসংকুল এই সমুদ্র পথে যাত্রা করছে।
গত এক বছরে ১ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী ইতালি পাড়ি জমিয়েছে। আর সীমান্ত অতিক্রম করে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পৌঁছেছে গ্রীসে।
এর আগে বুধবার লিবিয়া উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকার খোল থেকে ৫০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।