সুবাস/নিলু/মফিজের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে

‘সুবাসের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে../নিলুর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে…/ মফিজের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে…..এমনই সব স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্টসহযোগী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এখলাস উদ্দিন আহম্মেদকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী এভাবে স্লোগান দিয়েছে।

বুধবার বিকেলে নড়াইলের কালিয়া আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ওই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা পরিষদ ডাকাবাংলো চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফেজ মফিজুল হককে উদ্দেশ করে স্লোগান দেয়। পরে তাদের কুশপুতুল পোড়ানো হয়।

কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এখলাস উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ও নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শমীমুর রহমান ওসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ, আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক টুকু, কাওছার উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শামীম আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ঝিন্টু প্রমুখ।

নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুকে অর্বাচিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি এমপি কবিরুল হক মুক্তি বলেন, ‘আগে আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানতে হবে। যারা মুর্খ অশিক্ষিত তারা না জেনে, না শুনে মানুষ সম্পর্কে বাজে কথা বলে। এখলাস উদ্দিন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের মানুষ। তিনিই তাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছিলেন। এমনকি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও বানিয়েছিলেন।

শহীদ এখলাস উদ্দিনকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আর নিজেকে শেখ হাসিনার সৈনিক হিসেবে উল্লেখ করে কবিরুল হক মুক্তি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মোস্তাক চক্রের জায়গা হবে না। যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হবে।’

কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে কালিয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। আগামীতে তাদের কালিয়াতে ঢুকতে দেয়া হবে না।

কাচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামীমুর রহমান ওসি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকদের সমর্থকদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে।’

এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফেজ মফিজুল হকের কুশপুতুল পোড়ায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট নড়াইলের নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে ‘এখলাস উদ্দিন বিশ্বাস কখনো আওয়ামী লীগ করেন নাই ও তার ছেলে নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক মুক্তিও আওয়ামী লীগ করেন না’ বলে উল্লেখ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু ও নড়াগাতি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফেজ মফিজুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *