বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি ও – বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি,জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি,বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারে প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মালয়েশিয়া শাখা ও তার অঙ্গসংগঠন ।
শুক্রবার স্হানীয় সময় বিকাল ০৫ ঘটিকার সময় রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি রেস্তোরায়,শাহীন হাওলাদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মালয়েশিয়া শাখার সহ-সভাপতি মাজু দেলোয়ার,সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কাজী সালাহ উদ্দিন,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জোসেবুল আলম বিপ্লব ও বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন টিটু ।
এসময় বক্তারা বলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের দুইবারের সভাপতি শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করা একটি নিন্দনীয় ঘটনা। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রাজনৈতিক মামলায় মওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই জালিম সরকার জনগনের মুখ বন্ধ করে এখন আবার সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে চায়। আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মত একজন সাহসী সাংবাদিক কে সরকার গ্রেফতার করে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে।বক্তারা বলেন, যে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই সেদেশে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। এখন যা চলছে তা নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতা। এ সরকার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বলতে অবশিষ্ট কিছুই নেই। বক্তারা বলেন, দেশে সুস্থ্য রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। অবিলম্বে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিরোধী মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। বিরোধী মত দমন-পীড়নের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে সরকারই একসময় অস্তীত্বহীন হয়ে পড়বে। ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সালাহ উদ্দিন বলেন অনেক সাংবাদিকের রক্তে এই সরকারের হাত রঞ্জিত হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের আমলে ২২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাংবাদিক হত্যার বিচার করার কথা বললেও কারও কোনো বিচার হয়নি। তিনি বলেন, সাগর-রুনির প্রকৃত খুনীদেরতো গ্রেফতার করাই হয়নি। যারা সাগর-রুনির আন্দোলনের সাথে, রক্তের সাথে বেঈমানী করেছে সরকার তাদের পুরস্কৃত করেছে। এই সরকারের আমলে সত্য বললে নির্যাতন আর মিথ্যা বললে পুরস্কার।
তারা সরকারকে হুশিয়ারী উচ্চারন করে আরো বলেন মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদের মুক্তি আজ শুধু সাংবাদিক সমাজের নয়, গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।যদিও সরকার মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে তাদের আটক রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা আশা করি আদালত ন্যায় বিচার করবে। কারণ মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদ সত্যের প্রতীক। নির্ভীক ও সাহসি সাংবাদিক। তারা সত্য কথা তুলে ধরেছিলেন,এটাই তাদের অপরাধ । আদালত মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদকে খুব শীঘ্রই মুক্তি দেবে এটা বাংলার মানুষের প্রত্যাশা।
এসময় আরো উপস্হিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবুল হোসেন,নজরুল ইসলাম,যুবদল নেতা মো: ইউছুফ,মন্জুর আলী,মো: জাকির,তরুন প্রজন্ম দল নেতা মিলন ও পলাশ সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী ।
Amir Khan Amir liked this on Facebook.
Kutub Uddin liked this on Facebook.
Bilal Hasan liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
Showkat Hossain liked this on Facebook.
Mosiur Rahaman Shamim liked this on Facebook.
Md Solaman liked this on Facebook.
Faruk Mb liked this on Facebook.
Shahidul Alam liked this on Facebook.