পুলিশের ক্রসফায়ারে আজিবর নিহত: মাগুরায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষকালে মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও এক বৃদ্ধ নিহতের মামলার আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আজিবর শেখ পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১টার সময় শহরের দোয়ারপাড় এতিমখানা এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজিবর শহরের দোয়ারপাড় এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল মালেকের পুত্র। তিনি ১২ বছর আগে বিলুপ্ত মাগুরা পৌর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ জানান, আজিবরসহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দোয়ারপাড় এতিমখানা এলাকায় অবস্থান করছে- এমন খবরের ভিত্তিতে মাগুরা পুলিশের একাধিক টিম তাকে আটক করতে সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে আজিবর শেখের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেযাস্ত্র উদ্ধার করে।
এর আগে সোমবার বিকেলে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ মামলার ৩ নম্বর আসামি আজিবরকে শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেও মাগুরার পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু শালিখার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আজিবরকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। সেখানকার কিছু ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাও বিষয়টি স্বীকার করেন।
গত ২৩ জুলাই মাগুরায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নাজমা খাতুন ও তার পেটের শিশু গুলিবিদ্ধ এবং নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন মমিন ভূঁইয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া গত ২৬ জুলাই মোট ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পরও মাগুরায় আজিবর শেখের পক্ষে গত ১৪ আগস্ট শহরে পোস্টার লাগানো হয়। পোস্টারের বাঁ পাশে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এবং ডান পাশে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখরের ছবি। পোস্টারে বড় করে আজিবর শেখের ছবি ছিল। পোস্টারে আজিবর দাবি করেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ও মুজিব সৈনিক। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
র্যাবের ক্রসফায়ারে ঢাকায় আরজু নিহত: রাজধানীর হাজারীবাগে চুরির অভিযোগে কিশোর রাজা হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরজু মিয়া র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। তিনি হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-২-এর ক্রিসফায়ারে ঘটনা ঘটে।
র্যাব-২-এর এএসপি ফেরদৌসী রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে আরজুকে আটক করতে হাজারীবাগে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আরজু গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। র্যাব সদস্যরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
সোমবার হাজারীবাগে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ তুলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই কিশোরকে। রাজুর স্বজনদের অভিযোগ, হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরজু তার বাসায় মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে রাজাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
রোববার রাতে আরজুর বাসা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি হয়। সেই চুরির জন্য আরজু সোমবার সকালে রাজাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করেন বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
আরজুর বাসা গণকটুলী লেনের ৪৫/১-এর এ তে। বাবা মৃত লাল মিয়া। রাজার বাবার বাসাও হাজারীবাগের গণকটুলী লেনে। তবে রাজা কামরাঙ্গীরচরে বোন রেশমার বাসায়ই বেশির ভাগ সময় থাকত।
এআর
Moin Ahmed liked this on Facebook.