শুরু হলো বিমানের হজ ফ্লাইট

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজফ্লাইট শুরু হয়েছে আজ থেকে। রোববার প্রথম ফ্লাইট বিজি-১০১১ সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে হাজিদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এতে ৪১৯ জন হজ্জযাত্রী রয়েছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী ফ্লাইটের হজ যাত্রীদের বিদায় জানান।

আজ আরও তিনটি বিমান ঢাকা ত্যাগ করবে হাজিদের নিয়ে। এর মধ্যে হজ-ফ্লাইট বিজি-৩০১১ দুপুর ০২টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন, বিজি-৫০১১ রাত ০৮টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে।

বিমান কর্তৃৃপক্ষ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এবছর যথারীতি প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর আগে ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশকোনায় হজ-ক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এবছর হজ-ফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে ৫১,০০০ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জেদ্দা যাবেন। ঢাকা- জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেও কিছু হজযাত্রী পবিত্র ভূমিতে যাবেন।

এবার বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০১,৭৫৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ২৬০০ জন এবং অবশিষ্ট ৯৯,১৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।

ঢাকা- জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজ-যাত্রীদের ইকনোমি ক্লাসে বিমান ভাড়া ১৫১৫ মার্কিন ডলার এবং বিজনেস ক্লাসে বিমান ভাড়া ২৫০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এরসঙ্গে যোগ হবে দেয় অন্যান্য কর।

ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘণ্টা।

দুই মাস ব্যাপী হজ-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ২৮৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, যার মধ্যে ২২৪ ‘ডেডিকেটেড’ এবং ৬১টি শেড্যুল ফ্লাইট। ১৬ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘প্রি-হজ’-এ মোট ১৪৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড-১১৫ এবং শিডিউল-৩০)।

পোস্ট-হজে ১৪০টি ফ্লাইট চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ( ডেডিকেটেড-১০৯ এবং শিডিউল-৩১)।

হজ-ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা- জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।

এদিকে প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক ২ পিস ৩২ কেজি মালামাল বিমানে ও বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বাধিক ২ পিস ৪২ কেজি এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। কোন অবস্থাতেই প্রতি প্রিস ব্যাগেজ এর ওজন ২৫ (পঁচিশ) কেজি এর বেশি হতে পারবে না।

প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য ৫ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং হাজীরা ঢাকা ফেরৎ আসার পর তাদেরকে তা প্রদান করা হবে। কোনো হাজী সঙ্গে করে বিমানে পানি বহন করতে পারবেন না।

যে কোন ধারালো বস্তু যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিস্কারক, তাবিজ ও গ্যাস জাতীয় বস্তু যেমন এ্যারোসল এবং ১০০ (এম এল)-এর বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড লাগেজে বহন করা যাবে না।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী হাজীদের কষ্ট লাঘব করার উদ্দেশ্যে ফিরতি ফ্লাইটের ( জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ) ব্যাগেজ জেদ্দা এয়ারপোর্ট এ চেক্-ইন এর সময় বিমানে গ্রহণ করা হবে না। পরিবর্তে এই ব্যাগেজ পূর্বেই মক্কা ও মদিনায় বিমান নির্ধারিত স্থানে ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সাউদিয়া হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা রুটে আনা-নেয়া করবে।

১৯৭৩ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৭ জন হাজী হজ-পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সেবা গ্রহণ করেছেন।

১৮ thoughts on “শুরু হলো বিমানের হজ ফ্লাইট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *