মা হলো ১১ বছরের কিশোরী!

মাত্র ১১ বছর বয়সে মা হলো প্যারাগুয়ের এক কিশোরী। কিন্তু নবজাতকের বাবার পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল এখনো কাটেনি। তবে অভিযোগ রয়েছে, সৎ বাবার জঘন্য লালসার শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা হয় ওই কিশোরী।

গর্ভে আসা শিশুর বাবার পরিচয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও অন্তঃস্বত্ত্বা কিশোরী গর্ভপাতে রাজি হয়নি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারে জন্ম হয়েছে নবজাতকের। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা প্যারাগুয়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই দেশে গর্ভপাত হয় শুধু তখনই, যখন মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। এই কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বার বেলায় তেমন ঝুঁকি শনাক্ত না হওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি।

নিরাপত্তার স্বার্থে মেয়েটির নাম প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম। ১০ বছরে মেয়েটি ধর্ষিত হয় এবং এরপর তার গর্ভে সন্তান আসে।

মেয়েটির ৪২ বছর বয়সি সৎবাবা এখন জেলে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তবে তিনি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন বিচারে এর ফয়সালা হবে। মেয়েটির মাও অবহেলা দেখানোর কারণে অভিযুক্ত হয়েছেন। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

প্যারাগুয়ের রাজধানী অসুনসিয়নের রেইনা সোফিয়া হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে কিশোরী মায়ের। সিজারিয়ান চিকিৎসক মারিও ভিলালবা জানিয়েছেন, নবজাতক স্বাভাবিক ওজন নিয়ে জন্মেছে। তার ওজন ৩.৫৫ কিলোগ্রাম হয়েছে। মাও সুস্থ হয়ে উঠছেন।

ভিলালবা জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ১২ বছরের দু’জনসহ কয়েকজন কিশোরী সিজারের অপেক্ষায় আছে। তারা বাঁচার জন্য এখন লড়ছে।

প্যারাগুয়েতে নারীশিক্ষার হার অনেক কম। মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এদিকে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণকারীদের গর্ভপাতেরও অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার। ফলে কিশোরী মায়ের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

৪ thoughts on “মা হলো ১১ বছরের কিশোরী!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.