ঢাকা: রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সমগ্র বিষয় বিবেচনায় নিয়েই জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকুল্লা খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার এই দুই সাংবাদিকের আদালত অবমাননার রুলের রায়ের পরই অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেছেন- কন্টেম্পট অ্যাক্ট পুরনো হয়ে গেছে, এটি নতুন করে প্রণয়ন করা প্রয়োজন। তাই আদালত এটার ওপর জোর দিয়েছেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালত এও বলেছেন- হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্ট তারা শুধুমাত্র কন্টেমপ্ট অব কোড ১৯২৬ এর আন্ডারে এই কন্টেম্প রুল ইস্যু করেননি। তারা সংবিধানের যে বিধান আছে তার আলোকে কন্টেম্পট অব রুল জারি করেছেন’।
তিনি আরও বলেন, এই দুই সাংবাদিকের জরিমানার অর্থ সাত দিনের মধ্যে যে কোন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে, নচেৎ আরো সাত দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই ছিল আদালতের রায়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালত সার্বিকভাবে বলেছেন কোর্টকে কোনভাবেই স্ক্যান্ডালাইজড করা যাবে না এবং সেটা সার্বিকভাবে কোর্ট হোক বা যে কোন বিচারক হোক। সমালোচনা করা যাবে কিন্তু তার মাধ্যমে কাউকে স্ক্যান্ডালাইজড করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, কন্টেম্পেটের বিষয়ে অন্য মামলায় কি দেয়া হলো আর এই মামলায় কতখানি দেয়া হবে সেটা বিবেচ্য বিষয় না। কোর্ট বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন সাজা দিতে পারে। কোর্ট সামগ্রিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে এ রায় দিয়েছেন। কাজেই মাহমুদুর রহমানকে ছয় মাস সাজা দেয়া হয়েছে আর আতিক উল্লাহ খান মাসুদকেও ছয় মাস সাজা দেয়া হবে এই কথা ঠিক না। এটা আদালতের বিবেচ্য বিষয়। ছয়জন বিচারপতি বসে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা এ রায দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লেখাটির মাধ্যমে অবশ্যই আদালত অবমাননা হয়েছে এবং সেজন্যই ওনাদের আজ এ দণ্ড দেয়া হলো এবং জরিমানা করা হলো। আপনারা মনে রাখবেন আদালত অবমাননার এক ঘণ্টার দণ্ড আর এক বছরের দণ্ড দু’টিই কিন্তু দণ্ড।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানেই দেয়া আছে। আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে সেটি বলেছেন কিন্তু তার কতগুলো লিমিটেশন থাকবে। স্বাধীনভাবে কথা বলা মানেই এই না লাগামহীনভাবে হতে থাকবে। আদালত অবমাননার সীমারেখা আছে সেটা বিবেচনায় নিতে হবে।
Md Azizul liked this on Facebook.