ঢাকা: শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার নামে একটি স্টুডেন্ট কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানকে তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম চাকরির ফাঁদে ফেলে শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা।
গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিভাগের ব্যবস্থাপক আনন্থ লেচুমানান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের এজেন্টশিপ বাতিল করেছি। নতুন করে তারা আর আমাদের এখানে শিক্ষার্থী পাঠাতে পারবে না।
অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার পার্ট টাইম চাকরির কথা বলে কোয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী পাঠায়। কিন্তু মালয়েশিয়া পৌছে শিক্ষার্থীরা চাকরি না পেয়ে হতাশ হন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভর্তি ফি এবং টিউশন ফির তুলনায় অনেক বেশি ফি নিতো বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার।
প্রায় ১ যুগ ধরে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়া পাঠিয়ে নিজেকে আদম বেপারি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রহিম খান মুকুল।
মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে এনে ব্যবসা করতেন মুকুল। প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতারিত করে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়া পৌছে বুঝতে পারেন মুকুলের প্রতারণা। দেখা যায়, মুকুলের কথার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথার কোন মিল নেই।
শুধু কোয়েস্ট ইউনিভার্সিটি নয়, মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি মালায়া, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের এজেন্টশিপ বাতিল করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টারের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম অফিসে ফোন দিলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Showkat Hossain liked this on Facebook.
Jakir Hossain liked this on Facebook.
Abdul Kuddus Mizi liked this on Facebook.
Rajib Khan liked this on Facebook.