চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দু-এক দিনের মধ্যে লন্ডন যাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন। সম্ভবত কাল বা পরশু তিনি রওনা হবেন। এটা নির্ভর করছে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের ওপর। এটা ১১, ১২ অথবা ১৩ তারিখ হতে পারে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে দুই বার ডাক্তার দেখাতে হবে। সেই হিসেবে সাপ্তাহখানেক অথবা সর্বোচ্চ ১০ দিন তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করবেন।
যুক্তরাজ্য সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন সে দেশের কোনো রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না জানতে চাইলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিপন বলেন, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনবার, দুই বার সংসদে বিরোধীদলের নেত্রী ছিলেন। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান তিনি। সুতরাং যে দেশে সফর করবেন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপার থাকে, সৌজন্য সাক্ষাতের ব্যাপার থাকে, থাকতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সরকারের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির কারণে উচ্চ মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি বলে দাবি করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় পরীক্ষার ফল খারাপ হয় না। রেজাল্টে দেখা গেছে অনেক পরীক্ষার্থী সব বিষয়ে পাশ করছে শুধু ইংরেজীতে ফেল করছে। তাহলে কি রাজনৈতিক প্রভাব শুধু ইংরেজীর ওপর পড়েছে।
সরকারের অব্যবস্থাপনা, শিক্ষার উপকরণ, সঠিক পাঠদানের সীমাবদ্ধতাই উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, কূটনৈতিক সব ক্ষেত্রে পড়ে। সরকারের সৎ ইচ্ছা থাকলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে পারতো। পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে পিছিয়ে নিতে পারত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, এটি একটি ভাল উদ্যোগ। তার এ বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিশু ও তাদের বেশি সমালোচনা না করতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষকদের মেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেয়, ধর্ষণে সেঞ্চুরী করে এগুলো কি শিশুদের কাজ- এমন প্রশ্ন রাখেন রিপন।
Iqbal Liton liked this on Facebook.
Mizanur Rahman liked this on Facebook.
Apu Jcd Ramna liked this on Facebook.
Salim Khan liked this on Facebook.
Helal Ahmed liked this on Facebook.
Nazmul Haque liked this on Facebook.
Shoaib Sujon liked this on Facebook.
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.
Ishaque Meah liked this on Facebook.
Anwarul Hassan liked this on Facebook.
Md Nasir liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Reaz Uddin liked this on Facebook.