বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির নামে যেন চাঁদাবাজি না হয় সে বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চাঁদাবাজির দরকার হয়, এমন কর্মসূচি না নিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শোক দিবস পালনের নামে চাঁদাবাজি করে, এমন ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেৌথ সভায় সৈয়দ আশরাফ এমন পরামর্শ দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ৪০ দিনের কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতির বিষয়ে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, অসীম কুমার উকিল, মৃণাল কানি্ত দাস, আমিনুল ইসলাম আমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সভায় জাতীয় শোক দিবসে নেওয়া কর্মসূচিগুলো সফল করা এবং ইতিমধ্যে ঘোষিত কর্মসূচির বাইরে আর কী কর্মসূচি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। এরই একপর্যায়ে কর্মসূচির খরচের প্রসঙ্গ ওঠে। এ সময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘১৫ আগস্ট পালনের নামে যেন চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। চাঁদাবাজি করতে হয়, এমন কর্মসূচির দরকার নেই। নিজেদের টাকাতেই কর্মসূচি পালন করতে হবে। কেউ চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘শোক পালনের নামে চাঁদাবাজি করে থাকে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নামে গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় সংগঠনগুলো। এদের নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচির নামে চাঁদাবাজি করে না।’
এ সময় সৈয়দ আশরাফ কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তাহলে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে আপনারা অংশ নেবেন না। সরকারের কোনো মন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় নেতার এসব সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঠিক হবে না।’
সভাশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘সভায় আওয়ামী লীগ ঘোষিত ৪০ দিনের কর্মসূচি সমন্বয় করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি, দিন ও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এআর
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
মাটির পিঞ্জিরা liked this on Facebook.
Abdur Rob Bachu liked this on Facebook.
Showkat Hossain liked this on Facebook.
Gaffar Ali liked this on Facebook.