মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশী নারীদের ভোগ্যপন্য হিসাবে ব্যবহার বন্ধ করা হোক

ধোঁকা খেয়ে যেসব বাংলাদেশী নারী নাগরিক বিদেশে গেছে এবং বিদেশে তাদের  যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে কেমন হয় ? নারী পাচারকারী যারা মিথ্যা কথা বলে এইসব নারীদের বিদেশে পাচার করেছে তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করলে কেমন হয়? যাদের ঘরে উপার্জনক্ষম পুরুষ নাই অবশ্যই তারা কাজ খুঁজবে । দুর্মূল্যের বাজারে বেঁচে থাকার জন্য ভাল চাকুরী খুঁজবে। চারিদিকে শকুনের উড়াউড়ি বাংলাদেশে। চাকুরী দেবার নাম করে এরা ভোগপন্য হিসাবে বাংলাদেশী নারীদের ব্যবহার করছে। বাংলাদেশে সেদিন এক আমলা তার বিল্ডিং তৈরির জন্য টাকার দরকার ছিল তাই চাকুরীর লোভ দেখিয়ে এক মেয়ের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে। সেই মেয়ে তো বাংলাদেশেই এই আমলার দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। দেশে বিদেশে সবখানেই মেয়েরা প্রতারিত হচ্ছে, ধোঁকা খাচ্ছে, ভোগ্যপন্য হিসাবে বিকোচ্ছে। বহুকাল ধরে বাংলাদেশের রাস্ট্রপ্রধানেরা নারী। অথচ দেশে বিদেশে বাংলাদেশী নারীরা বিভিন্নভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।

নারী স্বাধীনতা বলতে আমরা বুঝি নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা । নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারার স্বাধীনতা । সংসারের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেবার স্বাধীনতা। নিজের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্টা। নিজেকে অন্যের বোঝা না ভেবে সংসারের একজন অংশীদার হিসাবে ভাবতে পারা ও সন্তুষ্টিলাভ করা। যেকোন সংসারে নারীর অবদান অনেক বেশী থাকে । সেইখানে যদি কর্মক্ষমতা যোগ হয় তাহলে নারীর অবদান পুরুষের চাইতে ২০০ গুন বেশী হবে। আমাদের দেশের অনেক পুরুষই রান্না করেনা। সাড়া বিশ্বের কোন পুরুষই সন্তানের জন্মদান করতে পারেনা। সন্তান ধারণ, বহণ করতে পারেনা। সেক্ষেত্রে নারীর অবদান অনেক বেশী। সেজন্য আল্লাহ্‌ সুবহানাতাল্লাহ নারীকে সৃষ্টির সকল কিছুর উর্ধে স্থান দিয়েছেন এবং পুরুষের উপরে নারীকে রক্ষা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। নারীর ভরণপোষনের দায়িত্ব পুরুষের। সেখানে কোন নারী যদি কাজ করে এবং স্বেচ্ছায় তার উপার্জন স্বামীর হাতে তুলে দেয় বা সংসারের ব্যয়ভার বহনে অংশ নেয় তাহলে সেটা নারীর বদান্যতা। সংসারে নিজের উপার্জন দেওয়া নারীর দায়িত্ব নয়। এটা নারীর কৃপা। চ্যারিটি।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে মুসলিম বিশ্বেই আমাদের দেশের নারীরা সব চাইতে বেশী নিগৃহীত হচ্ছেন। আমাদের দেশের পুরুষেরাই আমাদের দেশের নারীদের ভোগ্যপন্য হিসাবে মধ্যপ্রাচের বাজারে বিক্রি করছে। একটি মুসলিম দেশ থেকে অন্য একটি মুসলিম দেশে মুসলমান নারীদের ভোগ্যপন্য হিসাবে বাজারে বিক্রি করার চাইতে লজ্বাজনক ঘটনা কি হতে পারে ?

আমি আশা করবো বাংলাদেশের নারী রাস্ট্রপ্রধান এই ব্যাপারটি গুরুত্বের সাথে দেখবেন এবং নারীদের ফিরিয়ে এনে নিরাপদ ও সন্মানজনকভাবে যাতে চাকুরী করতে পারে তার ব্যবস্থা করবেন এবং নারী পাচারকারীদের ক্রশফায়ারে দিবেন।

 




১৫ thoughts on “মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশী নারীদের ভোগ্যপন্য হিসাবে ব্যবহার বন্ধ করা হোক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *