প্রবাসের স্বপ্ন অতপর যৌনদাসী!

মানিক হোসাইনঃ

হেড লাইন দেখে অনেকেই ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরেছেন। কারন প্রবাসের যৌনদাসী সংখ্যা একদম নগণ্য না। এখানে একেকজন একেক রুপে যৌন কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।কে কিভাবে এখানে যৌনতা লিপ্ত হলেন, কেউ কি জানেন?
প্রবাসনিউজের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে রেসমা, আইরিন,ফাতেমা রা।
রেসমা আক্তার- বাড়ি নারায়ণগঞ্জ
২দুই ভাই তিন বোন সংসারে বাবা একমাত্র রোজগার করতেন। তিনি বহুদিন নামকরা কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। বেশ ভালই ছিল তাদের জীবন।
২০০৮ সালে শামিম ওসমান বাহিনীর লোকজন মিছিল যাওয়া কালে আইভি বাহিনী হামলা করে। ঐ মুহূর্তে পথচারী হিসেবে বেস আহত হন।তার মাঝে রেসমার বাবাও ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর রেসমার বাবা জীবন পিরে পায়, কিন্তু চাকুরি পিরে পায়নি। কারন তখন তিনি স্বাভাবিক জিবনে পিরে আসতে পারেনি। মাথায় পচন্ড আগাতের কারনে হুস করে কিছুই বলতে পারেন না।
হাসপাতাল বিল স্থানীয় আত্মীয়দের থেকে হাওলাত করে শোধ করেছিলেন তার মা। কিছুদিন না যেতে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। বড় দুই মেয়ে ইন্টার পাস করে চাকুরির খোঁজে ঢাকায় আসে। রেসমা দেখতে একটু সুন্দর তাই দ্রুত চাকুরি হয়ে গেলে ঢাকা পল্টন। ‘হায়াত ট্র্যাভেলস’ কাজ ছিল ফাইল গুলো ঠিক রেখে বস কে সহায়তা করা। ভেতন ৫৫০০ টাকা দিয়ে কোন রকম দিন যাপন হতো।
বছর খানেক না যেতে এক দুবাই প্রবাসীর খপ্পরে পড়ল, ঐ দুবাই ওয়ালা গিয়েছিল টিকেট ঠিক করতে, ঠিক সেই মুহূর্তে ফাঁদে পেলে দেয় রেসমাকে।
তাকে অফার দেওয়া হয়, তুমি দুবাই আস। সেখানে আমার বড় কোম্পানি আছে, তোমাকে প্রতিমাসে খাওয়া বাসা দিয়ে ৫০,০০০ দেব। কাজ দৈনিক ৬ ঘণ্টা, তাও অফিসের ম্যানেজার হিসেবে।
হাতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরে যোগাযোগ করতে অনুরধ করলেন। রেসমা, নিজের সংসার ভাই বোনের কথা মাথায় রেখে ঠিক পরের দিন বিকেলে কল দিয়ে যাওয়ার আগ্রহ ব্যাক্ত করলেন।
তখন সে বার বার জিজ্ঞেস করলেন, ভাইয়া কাজ ঠিক না থাকলে আমি চলে আসব।
সে তখন বলছে কোন সমস্যা হলে সম্পূর্ণ আমি দায়ী।।
মাস খানেক পরেই ভিসা আসলো। প্রফেসন লেখা ছিল, অফিস ক্লার্ক।
এই ব্যাপারে ফোনে জানতে চাইলে সে বলে, ম্যানেজারের ভিসা পাওয়া মুশকিল তাই এই নামে ভিসা বের করা হল ।রেসমা বিদেশের লোভে বেশী কথা না বলে প্রস্তুতি নিয়ে নিলেন।  ১৪ দিনের মাথায় দুবাই এমিরেটস ফ্লাইটে দুবাই আসেন।

এয়ারপোর্ট আশার সাথে সাথে সোহেল হাজির ওকে রিসিভ করতে।
লেক্সাক্স গাড়ি নিয়ে ভেতরে বসতে বললেন আমাকে। আমি বাসায় এসে দেখে শুদু একটি রুম। সেখানে ব্যাড একটি, পাশে পড়ে আছে সোহেলের জামা কাপড়। বিভিন্ন্য আসবাব পত্র। আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। সোহেল আমাকে বলে, তুমি উপরে শুয়ে পড় সকালে রুম ঠিক করে দেব। আমি নিছে থাকব। আমি ফ্রেশ হতে গিয়ে দেখি সোহেল মদ পান শুরু করলেন। আর বের হতেই অস্বাভাবিক আচরণ তার, একদম হিংস্রতা… আমি ক্লান্ত ভাব নিয়ে তার কাছে ভিক্ষা চাইলাম। কিন্তু শয়তান কিভাবে মানুষ কে মাফ করে!
শুরু হল আমার জীবনের নতুন অধ্যায়।

দেশে ফেরত যেতে চাইলেও আমি যেতে পারছিনা। কারন সে আমাকে জিন্দা রাখেনি। আমাকে করে ফেলেছে নষ্টা… আজ আমি পতিতা, আমি আজ নাচনে-ওয়ালি। আমাকে দুবাইয়ের প্রায় ক্লাবে পাবেন। আজকাল আমার মা বাবা সহ সবাই আমাকে গেন্না করে। আমাকে ত্যাগ করেছে ফ্যামিলি থেকে। কেউই মুখ দেখতে নারাজ।।
সবাই আমাকে নষ্টা বলে সম্বোধন করে। নিজের কান্দন নিজেই কান্দি কাউকে বুঝতে দেইনা। আমি একা বড়ই একা ভাই…

এই বলে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলেন রেসমা।।
রেসমার জীবন শেষ, শুরু আরও নতুন জীবন সোহেল গং দের।

দ্বিতীয় পর্ব ‘আইরিনের’ কালকে প্রকাশ করা হবে।

৩ thoughts on “প্রবাসের স্বপ্ন অতপর যৌনদাসী!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *