ফেসবুকে প্রথমে এপিজে আবদুল কালামের লাশের চেহারা দেখে ভেবেছিলাম সেটা বোধহয় ফটোশপে এডিট করা। পরে গুগলে সার্চ করে দেখলাম সেটা আসল ছবি। সেই ছবি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। হার্ট অ্যাটাক করে মারা যাওয়া একজন মানুষের চেহারা এরকম বিকৃত হয়ে যাওয়াটা বিরল। ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া মূর্তিপূজারক এপিজে কালামের এই চেহারা কি আমাদের জন্য সতর্কবানী না?
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের এরকম বহু ঘটনা দিয়ে আমাদের সতর্ক করেন। কিন্তু আমরা যেন আল্লাহ্ তায়ালার অস্তিত্ব স্বীকারই করতে চাইনা।
আমরা দুনিয়ার অনেক কিছু নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করে দেখি। কিন্তু এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ তায়ালার অলৌকিক নিদর্শন পবিত্র কোরআন পরীক্ষা করে দেখতে চাইনা।
আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন,
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।৮৬ :৫
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। ৮৬:৬
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে। ৮৬:৭
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে পুরুষ মানুষের বীর্য নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।আমরা আগে জানতাম না মানুষের বীর্য কোথা থেকে নির্গত হয়। এই তথ্য বিজ্ঞান আমাদের মাত্র কিছুদিন আগে জানিয়েছে। অথচ পরম করুনাময় আল্লাহ্ আমাদের ১৪০০ বছর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন পবিত্র কোরআনে।
এরকম আরো কিছু আয়াত,
“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মূখ বন্ধ ছিল, তারপর আমি ঊভয়কে খুলে দিলাম।” – সূরা আম্বিয়া-৩০(বিশ্ব সৃষ্টি ও মহা বিস্ফোরণ (বিগ ব্যাংগ)
“তার পর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা কিছু ধূঁম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবী বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল আমরা সেচ্ছায় আসলাম। – সূরা হা-মীম সাজদাহ-১১ (ছায়াপথ সৃষ্টির আগে প্রাথমিক গ্যাস পিন্ড)
“তোমরা কি লক্ষ্য করনা যে,আল্লাহ কিভাবে সাত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন,সেখানে চাঁদকে রেখেছেন স্নিন্ধ আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে ?”- সুরা নূহ-১৫-১৬(চাঁদের আলো হচ্ছে প্রতিফলিত আলো)
“আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি,তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি ,এরপর তোমাদেরকে তা পান করাই।”সূরা হিজর ২২
“তিনি আল্লাহ ,যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে।অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন।এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা।তিনি বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছা পৌঁছান,তখন তারা আনন্দিত হয়।”- সূরা আর রুম-৪৮(বৃষ্টিগর্ভ বাতাস)
এরকম সব আয়াত দেখলে অবিশ্বাসীরা অবাক হয়! তারা ভাবে ‘এটাও কি সম্ভব! এটা মনে হয় ধোঁকাবাজি!’
অথচ তারা ডিকশনারি খুলে দেখলেই বুঝতে পারত। বহু অমুসলিম আছেন যারা আরবি-ইংলিশ ডিকশনারি লিখেছেন।
আসলে পবিত্র কোরআন সেসব অবিশ্বাসিদের চিন্তার চেয়েও বেশি অলৌকিক।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে তার আজাব থেকে রক্ষা করুন।
Shahidul Alam liked this on Facebook.
Shahriar Nafees liked this on Facebook.
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.
Rasuler Soinik liked this on Facebook.
Probas Sorkar liked this on Facebook.
Bashir Ahmed liked this on Facebook.
Parbes Chodhuwre Parbes liked this on Facebook.