অপমানে আত্মহত্যা করা সেই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পাশে বেগম খালেদা জিয়া

‘সচিবের গলা ধাক্কা খেয়ে’ অপমানিত হয়ে অভিমানে আত্মহত্যা করা মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রোববার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন আইয়ুব খানের স্ত্রী খাদিজা বেগম। এ সময় খালেদা জিয়া তাকে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং তাদের বিশেষ খোজ খবর নেন।। খাদিজা বেগমের সঙ্গে তার দুই ছেলে ও দুই মেয়েও উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ। আইয়ুব খান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছিলেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সংসদের সদস্য সচিব ছিলেন তিনি। গত ৭ জুলাই রাজধানীর সেগুন বাগিচার তোপখানা রোডের কর্ণফুলি ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ থেকে আইয়ুবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার পর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু আগে আইয়ুব খান ঢাকার জেলা প্রশাসকের বরাবর চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি লেখেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তাকে বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন। এই অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

পরদিন বিষয়টি ফলাও করে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রতিবাদ জানান এমএ হান্নান। তিনি বলেন, তিনি (আইয়ুব খান) আমার পূর্ব পরিচিত নন এবং তার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয়ও নেই এবং সে কারণে ব্যক্তিগত আক্রোশ থাকারও প্রশ্ন ওঠে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে এ মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে কারও কারও মনে ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নয় এমন বিষয় নিয়ে কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কাজেই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের পূর্বে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাই। ৯ জুলাই এ ঘটনায় ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি আর কখনও হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন না।

৪৩ thoughts on “অপমানে আত্মহত্যা করা সেই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পাশে বেগম খালেদা জিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *