স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে মাগুরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জান্নাত আরা সোনিয়া নামে এক নারী।
সোনিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর গ্রামের মো. গোলাম আলীর মেয়ে। তাসনিন সুলতানা জুই নামে তাদের সংসারে একটি চার বছর বয়সের কন্যা সন্তান রয়েছে।
রোববার (২ আগস্ট) দুপুর ১টায় মাগুরা প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জান্নাত আরা সোনিয়া সাংবাদিকদের জানান, ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মো. হিসাম হোসেন নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় হিসাম তাকে ছল চাতুরি করে ভুল বুঝিয়ে মাগুরা শহরের হাজি সাহেব মসজিদের এক ইমামের মাধ্যমে কলেমা পাঠ করিয়ে বিয়ে করেন। এর পর থেকে হিসামের সঙ্গে তার গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে। হিসাম তার লেখাপড়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাকে ধুমধাম করে বিয়ে করার আশ্বাস দেন।
একপর্যায়ে ২০১১ সালে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলেন। কিছুদিন পরে সোনিয়া আবারো অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু সম্প্রতি হিসাম তাদের কলেমা পড়া বিয়ে অস্বীকার করে তাকে ও তার ৪ বছরের (তামনিন সুলতানা জুই) শিশু সন্তানকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু করেন।
তা টের পেয়ে এ বছর ১৫ জুন মাগুরা শহরের ঢাকা রোডে মওলানা মোহাম্মদ আলীর কাজি অফিসে হিসামের সঙ্গে তার নিকাহনামার মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে ৬ জুলাই সোনিয়া তার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার দাবি করলে সেখান থেকে তাকে মারপিট করে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় অসুস্থ অবস্থায় সোনিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোনিয়া মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা (মামলা নং-২৭/৪৩৭ তারিখ ০৭.০৭.১৫) করেন। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন আহমেদ তাকে কোনো প্রকার সহায়তা করছেন না। উল্টো প্রভাবশালী হিসামের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ অবস্থায় স্বামী ও সন্তানের অধিকার ফিরে পেতে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। তিনি নিরপেক্ষ ভাবেই মামলার তদন্ত কাজ করছেন।
সোনিয়ার স্বামী হিসাম আহম্মেদের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ফোনে (০১৭২৮৩০৯৩০১) যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দিয়ে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
সুত্র-বাংলানিউজ
Bilal Hasan liked this on Facebook.