ঘূর্ণিঝড় কোমেনে গলাচিপায় গাছ উপড়ে পড়ে নুর ইসলাম ফকির (৫২) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। কোমেনের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালী উপজেলায় চারটি বেরিবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদীর পানি তিন থেকে চার ফুট বেড়ে যাওয়ায় জলোচ্ছ্বাসে রাঙ্গাবালীর ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, রাঙ্গাবালীর একাধিক বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সব নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা।
কোমেন আঘাত হানলে দুর্যোগ মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন জরুরি সভা করেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও দুর্গত এলাকার মানুষের আশ্রয়ের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ রেখে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম জানান, জেলার গলাচিপা উপজেলার কল্যাণকলস গ্রামে দমকা বাতাসে গাছ উপরে পড়ে মো. নুর ইসলাম ফকির নামের ওই দিনমজুর নিহত হয়েছেন। ওই উপজেলা প্রশাসন লাশ দাফনের জন্য সার্বিক সহায়তা দিয়েছে।
চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান হাওলাদার জানান, জলোচ্ছ্বাসে ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া-চরলতা বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে চরলতা পশ্চিম বেড়িবাঁধ ও গরুভাঙ্গা গ্রামের পূর্ব পাশের বাঁধেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে চালিতাবুনিয়ার ইউনিয়নের জনবসতির ৪টি গ্রাম প্লাবিত হবে। এছাড়াও ওই উপজেলার জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে চরকাশেম, আন্ডারচর, গঙ্গিপাড়া, চরগঙ্গা, চরতুফানিয়া, খালগোড়া ও চতলাখালীসহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা করেছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।’
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মোহাম্মাদ আলিম উল্লাহ বলেন, ‘যে সকল এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙন শুরু হয়েছে, ওইসব এলাকা সম্পর্কে খোঁজ রাখা হচ্ছে। উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিক জলচ্ছ্বাসের ফলে জেলার বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও কলাপাড়া উপজেলার (নিন্মাঞ্চল) প্রায় ২০টি চর প্লাবিত হয়েছে। পটুয়াখালীর বিআইডব্লুউটিএ কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ রুটের সব নৌচলাচল পরর্বতী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সকাল ১০টায় জরুরি সভা করে জানিয়েছেন, দূর্যোগকালে সব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত। প্রায় ১০০ টন চালসহ নগদ টাকাও মওজুত রয়েছে।
Sarowar Islam liked this on Facebook.
Md Rushu liked this on Facebook.
Abul Hashem liked this on Facebook.
Halim Khan liked this on Facebook.
Halim Hossain liked this on Facebook.
Syfur Rahman Rashed liked this on Facebook.
Jaynul Haque liked this on Facebook.
Moin Ahmed liked this on Facebook.
Rajib Khan liked this on Facebook.
Md Kabir Ul Islam liked this on Facebook.
Nazmul Haque Sagor liked this on Facebook.
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.