হয়রানীর আরেক নাম,বাংলাদেশের বিমান বন্দর!

মানিক হোসাইন
আরব আমিরাত প্রতিনিধি

এয়ারপোর্টে হরহামেশা আমাদের মতো নিরিহ প্রবাসী হয়রানীর শিকার হয়ে থাকি। আমাদের মানুষ বলে মনে করাও ভুল হবে কিছু কিছু এয়ারপোর্ট কর্মীর কাছে। ওনারা আমাদের মনে করে ১০ টাকার কামলা।।
আর ভিআইপি দের মনে করে ওদের খোদা!!



একজন প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী, এমপি সহ ভালো পজিশনের কেউ আসলে তাদের পাশে থেকে স্যার স্যার বলে মুখে পেনা তুলে পেলে। মাঝে মাঝে কিছু অশিক্ষিত মন্ত্রীদের গালাগাল শূনে ও মুখে হাসি রাখেন।

অতচ একজন অশিক্ষিত প্রবাসী ঠিকভাবে ফরম পুরন করতে না পারলে শূনতে হয় ধমক, গালাগাল। তাদের লাইন থেকে বের করে আবারো অন্য কাউকে দিয়ে লেখার জন্য পাঠায়।।

কিন্তু এই অশিক্ষিত প্রবাসীর রেমিটেন্স ওদের মতো ‘শিক্ষিত মুরুক্ষ’ পাবলিক গায়ে ফারফিউম আর দামী দামী মোবাইল,ফ্লাট ব্যাবহার করে।।

একজন প্রবাসী যখন দেশের স্নেহ ভালোবাসা নিয়ে দেশে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে, সে অন্তত ১০/১৫ দিন খাওয়া দাওয়া সহ গুমাতে পারেনা। যাওয়ার আগের দিন রাত থেকে সর্বক্ষণ শুদুই অপেক্ষার প্রহর।
এয়ারপোর্ট আসলে মনে হয় নিজের মা বাবা সহ সবাইক ফিরে পেয়েছি।
সেই প্রবাসীদের যদি এমন বাজে আচরণের শিকার হতে হয়, কি করতে মন চায় বলেন??

২০১৪ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখে আমি যখন বাড়ির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেই, তখন আমিরাত এয়ারপোর্ট থেকে খুব আয়েশী ভাবে গিয়েছি। কিন্তু তাদের সেই ব্যাবহার আমাকে মুগ্ধ করেনি। কারন তারা আমার মাতৃভূমির নহে।
আমি যখন বুকিং কার্ড নিয়ে এমিরাত ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করি, তখন দেখলাম একজন বাংলাদেশী ‘duty free’ থেকে মালামাল কিনছে।তার পরনে লুঙ্গি ছিল, বয়স প্রায় ৪৫/৫০ হবে। তিনি দুধ ট্যাং নিয়ে সোজা লুঙ্গির মাঝ খানে বাজ করে নিয়ে নিলেন। তখন সেখান কার স্টাপ এসে ওনাকে বললেন- আংকেল প্লিজ এটি ব্যাগে রাখুন আমি আপনাকে হেল্প করব।।

তখন তিনি আরেকজন কে ইশারা দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কি কয় উনি?
পাশে থাকা আরেকজন বাংলাদেশী বুঝিয়ে বেগে মাল গুলো রাখলেন।

অথচ এই কাহিনী আমাদের দেশে হলে নিচ্ছিত ওনাকে এয়ারপোর্ট থেকে বের করে দিতেন।

কিন্তু কেন??
আমাদের রেমিটেন্স খেয়ে আমাদের যথাযথ মূল্যায়ন কেন নয়??
আমাদের  বেতনে আয়েশ করে আমাদের কেন সন্মান নয়??

একজন প্রবাসী কাজের অনুপযোগী হলে দেশে ফেরত আসেন,
এরপরেই নেমে আসে কাল বৈশাখী ঝড়!!
অতচ দেশে কেউ চাকরি হারালে তাকে দেওয়া হয় ভাতা। মাঝে মাঝে দেওয়া হয় বিশেষ পুরষ্কার।।
কিন্তু প্রবাসীদের??

এই মুহূর্ত থেকে প্রত্যেক প্রবাসীর প্রানের দাবী-

আমাদের এমব্যাসি গুলো যথাযথ সহায়তা করুক।
বাংলাদেশে ছুটি বা কেন্সেলে গেলে এয়ারপোর্ট মূল্যায়ন হোক।
আমাদের জন্য সরকারী ভাতা চালু হোক।
আমাদের দেশে বা দেশের বাহিরে আইনি সহায়তা দেওয়া হোক।
আমাদের ভিসা জটিলতা সহ নানান জটিলতায় সর্বাত্মক সহায়তা করা হোক।
দেশে বা প্রবাসে যেখানেই থাকুক বাংলাদেশী নাগরিকদের বেকার ভাতা দেওয়া হোক।

১১২ thoughts on “হয়রানীর আরেক নাম,বাংলাদেশের বিমান বন্দর!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *