ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দমন-পীড়ন করে কোনো গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকার টিকে থাকতে পারে না, এই সরকারও পারবে না। জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখে এই অগণতান্ত্রিক অবৈধ সরকারের পতন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে এসব কথা বলেছেন খালেদা জিয়া।
ঈদের পরদিন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদও জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। রাজীবকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলেছেন বেগম জিয়া।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে সারা দেশ থেকে ২০ দলীয় জোটের বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেও, রাজীব যখন গ্রেপ্তার হলেন তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ শান্ত।
গ্রেপ্তারের পর রাজীবের লাগেজ তল্লাশি করে ৪৫ পিস ইয়াবা ও এক বোতল মদ পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। খালেদা জিয়া বলছেন, ‘বিরোধী রাজনীতিকে দুর্বল করার অপপ্রয়াসে ছাত্রনেতা রাজীবকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘন্টা পর তাকে বহনকারী গাড়িতে মাদক পাওয়ার কথা প্রচারকে রাজনৈতিক কর্মীদের চরিত্রহননের একটি ঘৃণ্য প্রচারণামূলক নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। গ্রেপ্তারের সময় সেখানে কেউ কোনো মাদক উদ্ধার করতে দেখেননি কিংবা সেখানে এসব কিছু পাওয়ার কথাও পুলিশ তখন কাউকে বলেনি। কাজেই ঘটনার দীর্ঘ সময় পর পুলিশ কার্যালয়ে বসে যে বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে তা উদ্দেশ্যমূলক, মানহানিকর এবং রাজীব আহসানের মত সৎ ও আদর্শবান একজন রাজনৈতিক কর্মী সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রমূলক অপচেষ্টা মাত্র। সরকারের নির্দেশে মিথ্যা প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে আইন-শৃংখলা বাহিনীকেও আজ জনগণের নিন্দা আর অবিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়া আরো বলেছেন, ‘একই দিন ঢাকা ও নরসিংদিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পরিচালিত পুলিশি অভিযান প্রমাণ করে যে, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মাদক উদ্ধারের বিষয়টি একটি ঘৃণ্য প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়।’
রাজীব আহসানসহ বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীর মুক্তিও চেয়েছেন খালেদা জিয়া।
Faruk Ferdus liked this on Facebook.
Nurul Islam liked this on Facebook.