প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের কাজে গতি আনতেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় রদবদল একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সংসদীয় গণতন্ত্রে মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব পুনর্বণ্টন ঘটতেই পারে। তিনি বলেন, এবারের ঈদে সরকারের সুব্যবস্থাপনার ফলে এবার মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ও আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষতি আর কেউ করতে পারবে না। ক্ষতি করার ক্ষমতা বিএনপি-জামায়াতের নেই, হবেও না। জনগণই মূলশক্তি। ইনশাল্লাহ, জনগণ আমাদের পাশে থাকলে কেউ আর দেশের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। গত শনিবার ঈদের দিন সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বন্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া ঈদ শুভেচ্ছা বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে প্রথমে দফতরহীনমন্ত্রী এবং কয়েক দিনের মধ্যে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্বের পুনর্বণ্টন স্বাভাবিক ঘটনা। এটা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব। যেকোনো সময় প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা মন্ত্রিসভায় রদবদল করতেই পারি। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা নিয়ে অন্যদের কথা বলার সুযোগ নেই। এ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখিরও সুযোগ নেই। এর আগে সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান।
এ সময় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছেলের স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভারমায়ার, মেয়ে সায়মা হোসেন ওয়াজেদ ও জামাতা খন্দকার মাসরুর হোসেন এবং নাতি-নাতনিরা তার সঙ্গে ছিলেন। শুরুতে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, সতীশ চন্দ্র রায়, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিচারপতি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা, এতিম-দুস্থ, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সবশেষে কূটনীতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ। ঈদের ছুটির পর অফিসে প্রধানমন্ত্রীএদিকে, ঈদের তিনদিনের ছুটির পর গতকাল সোমবার অফিস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুক্র, শনি ও রবি এই তিনদিন ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার যথারীতি খোলে সব সরকারি অফিস আদালত। সোমবার সকাল দশটায় সরকারি বাসস্থান গণভবন থেকে তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। অফিসে পৌঁছেই দাপ্তরিক বিভিন্ন কর্মকা-ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন সাংবাদিকদের জানান, অফিসে আসার পর কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের খোঁজখবর নেন।
আতিক