শিশু রাজনকে যৌন নিপীড়ন করতে চেয়েছিলেন চৌকিদার ময়না মিয়া

সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে মামলার অন্যতম আসামি চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না যৌন নিপীড়ন করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ময়নার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণেই চুরির নাটক সাজিয়ে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনের স্বজনেরা। বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর.কম এবং সময় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এসব প্রসঙ্গ এসেছে ।

রাজনকে শারীরিক নির্যাতনের সময় মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওচিত্রে নির্যাতনকারীদের মুখে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রাজনের স্বজনদের বক্তব্যে উঠে আসে ভিন্ন কথা। সোমবার সিলেট আদালত চত্বরে রাজনের চাচা আবদুল মালেক ও মামা ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, রাজনকে মামলার অন্যতম আসামি চৌকিদার ময়না মিয়া ‘বলাৎকার’ করতে চেয়েছিলেন। ওমর ফারুক বলেন, “ময়নার চৌকিদারের চরিত্র নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে ছোট ছেলেদের সঙ্গে খারাপ কাজ করে।” ময়নার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওমর ফারুকের।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ময়না পলাতক রয়েছে। পলাতক অন্যরা হলেন- আলী হায়দার ওরফে আলী ও কামরুল ইসলাম। গ্রেপ্তারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে মামলার মূল আসামি কামরুলের ভাই মুহিত আলমকে। এছাড়া সোমবার সকালে ইসমাইল হোসেন আবলুছ নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে কুমারগাঁওয়ের একটি গ্যারেজ থেকে ভ্যানগাড়ি চুরির অভিযোগ এনে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছর বয়সী রাজনকে। এসময় ২৮ মিনিটের সে ভিডিওতে রাজনকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শারিরীক নির্যাতনের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।

আতিক/প্রবাস

১৪ thoughts on “শিশু রাজনকে যৌন নিপীড়ন করতে চেয়েছিলেন চৌকিদার ময়না মিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *