‘আমার শিশুপুত্র রাজনকে হত্যার পর বুধবার রাতে জালালাবাদ থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি। আমাকে থানা থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এসআই আমিরুল। পুলিশ হত্যাকান্ডটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল।’ সোমবার রাতে রাজনের বাবা আজিজজুর রহমান আলম একথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আজিজুর রহমান মাইক্রোবাস চালক। তিনি বুধবার সকালেই বাসা থেকে বের হয়ে যান।
আর তার ছেলে রাজন যায় সব্জি বিক্রি করতে। কিন্তু সন্ধ্যায়ও সে ফিরে না আসায় তার খোঁজ পড়ে। আজিজুর রহমান জানান,‘ রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসআই আমিরুল রাজনের লাশের ছবি দেখায় তার মোবাইল ফোনে। এরপর হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ সনাক্ত করে থানায় যাই মামলা করতে।’ তিনি জানান,‘ ততক্ষনে এসআই আমিরুল অজ্ঞাতদের নামে আগেই মামলা করে বসে আছেন। আমি আসামিদের নাম ধরে মামলা করতে চাইলে এক পর্যায়ে এসআই আমিরুল আমাকে গলাধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়।’ তিনি অভিযোগ করেন,‘ এরপর পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কোন উদ্যোগ নেয়নি।
চারদিন পর পত্রিকায় খবর বের হলে পুলিশ তৎপর হয়। পুলিশ কোন আসামিকে ধরেনি। মুহিত আলমকে পাবলিক ধরেছে।’ জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম এসআই আমিরুলের এই আচরণের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন,‘ আমি ঘটনার দিন থানায় ছিলাম না । মামলার সাক্ষী দিতে গিয়েছিলাম। পরে এসে রাজনের বাবার লিখিত অভিযোগকে এজাহার হিসেবে নিয়েছি। ’ তিনি আরো বলেন,‘ এসআই আমিরুলের মামলায় কোন আসামির নাম ছিলনা।’ তিনি বলেন,‘ রাজনের বাবা এসআই আমিরুলে বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’ আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন ,‘ এসআই আমিরুল অপরাধীদের পালাতে সহায়তা করে। আর সে কারণেই মূল হোতা কামরুল ইসলাম সৌদি আরব পালাতে সক্ষম হয়।’ তবে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবাসীরা কামরুলকে ধরে পুলিশে দিয়েছে।
আতিক/প্রবাস
Ronok Uddin Khan liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.
Kamrul Huda Luis liked this on Facebook.
Sumon Rana liked this on Facebook.
Rezaul Bagbari liked this on Facebook.
ফাতেমা শিউলি liked this on Facebook.
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.
M F Karim Khan liked this on Facebook.
Abdul Hai liked this on Facebook.
MD Razak liked this on Facebook.
Kajol Khan Anees liked this on Facebook.
Md Rushu liked this on Facebook.
Jone Make liked this on Facebook.