চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াংয়ের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন ‘চ্যান-হোম’।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টি ঝেজিয়াং প্রদেশের নিংবো শহরের কাছে একটি দ্বীপে আঘাত হানে।
ধারণা করা হচ্ছে, আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৩ কিলোমিটার (১০৭ মাইল)। তাৎক্ষণিকভাবে প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায়নি। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ঝেজিয়াং প্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চীনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে দেখা গেছে, প্রতিবেদক রাস্তায় প্রায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন।
সাংহাই থেকে বিবিসির এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে শতাধিক ট্রেন সার্ভিসও।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার।
চীনের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ফুটেজে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি আসার পর থেকেই সেখানে ভারী বর্ষণ হচ্ছে।
১৯৪৯ সালের পর থেকে ঝেজিয়াং প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টিকে প্রথমে ‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও পরে এটিকে ‘স্ট্রং বা শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
তবে তা সত্ত্বেও উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসব অঞ্চল থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
Singer Boy Tanvir liked this on Facebook.