বাংলাদেশের অশান্তির বিষফোড়া শেখ হাসিনার দুরভিসন্ধি ফাঁস

শেখ হাসিনার দুরভিসন্ধি টের পেয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করেই সৌদি আরব সফর বাতিল করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিস্বস্ত সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে অবৈধ হাসিনা সরকারের হীন পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরেই শেষ মুহূর্তে এই সফর বাতিল করলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।সূত্রটি জানায় , সৌদি আরবে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাকে যেন বিশ্বের কোনো বিমান সংস্থার বিমানই বাংলাদেশে নিয়ে না আসে এমন পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হয়েছিলো।
এই সূত্র আরও জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি সফর নিয়ে বড়সর ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল, তাই শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করেছেন খালেদা জিয়া।আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল আইন অনুযায়ী যে কোন বিমান তার গন্তব্য দেশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোন ব্যাক্তিকে বহন করতে পারে না।এই আইনের আওতায় ২০০৮ সালে বিতর্কিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনাকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আসার বিমান থেকে অফলোড করা হয়।একই ভাবে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশারফ এর আমলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরীফকে(বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী) সপরিবারে সৌদী আরব থেকে ফিরতে বাধা দেয়া হয় এবং তিনি সে যাত্রায় প্রায় ৫ বছর সৌদী আরবে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য ১/১১ এর সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্বাবধায়ক সরকারের আমল বহু চাপ, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়েও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা যায়নি।তিনি কোন অবস্থাতেই দেশের জনগনকে ফেলে বিদেশ যেতে রাজি হননি।অথচ অপর বন্দী নেত্রী শেখ হাসিনাকে এই প্রস্তাব দেয়া মাত্রই তিনি তা লূফে নেন এবং সত্বর বিদেশে চলে যান।সদ্য পূত্র হারা মা বেগম খালেদা জিয়ার তার অপর পূত্র তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতের এই সূযোগটিও অবৈধ হাসিনা সরকারের হীন কূট কৌশলে নষ্ট হলো দুঃখজনক ভাবে।
বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের ভিসা, বিমান টিকিট এবং মক্কা-মদিনায় হোটেল বুকিংসহ যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে, হঠাৎ করেই খালেদার সৌদি আরব সফর বাতিল করা হলো।
এদিকে ওমরাহ পালনে স্ব-পরিবারে সৌদির উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত গেলেন না বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান। বুধবার ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগের কথা ছিল বিএনপির সিনিওর ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের।
মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে ওমরাহ পালনের আন্তরিক ইচ্ছে ছিল তারেক রহমানের। শেষ মুহুর্তে বেগম খালেদা জিয়ার সৌদী আরব সফর বাতিল করা হলে শেষ পর্যন্ত, ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন না তারেক রহমান,এমনটি জানা গেছে বিএনপি সূত্রে।