ময়মনসিংহ পৌরসভার সামনে যাকাতের কাপড় নিতে এসে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পৌর এলাকার নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিকের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- শহরের পাটগুদাম বিহারী ক্যাম্পের সিরাজুলের ছেলে সিদ্দিক (১২), কৃষ্ণা মিয়ার স্ত্রী সখিনা (৪০) ও তার ছেলে লাল মিয়া (০৫), মৃত বারেকের স্ত্রী সামু বেগম (৬০), লালু মিয়ার স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৭০), শহরের ধোপাখলা এলাকার গোবিন্দ বসাকের স্ত্রী মেঘলা বসাক (৫৫), নারায়ণ চন্দ্র সরকারের স্ত্রী সুধা রানী সরকার (৫৫), মৃত বজেন্দ্রর স্ত্রী রিনা (৬০), মৃত সুলতান মিয়ার স্ত্রী জামেনা বেওয়া (৬৫), চরপাড়া এলাকার হায়দার আলীর স্ত্রী হাসিদা বেগম (৫৫), আকুয়া দক্ষিণ পাড়ার জালালের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০), সালামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৫), রবি হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৫২), কাঠগোলা বাজারের আব্দুল মজিদের স্ত্রী রেজিয়া আক্তার (৫৫), কাঁচারীঘাট এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের স্ত্রী ফজিলা বেগম (৭৫), থানাঘাট এলাকার আব্দুস সালেকের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৫০), চর ঈশ্বরদিয়ার লাল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬০), তারাকান্দা থানার বালিডাঙ্গা গ্রামের মোসলেম মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম (৫০)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ নূরানী জর্দা ফ্যাক্টরির মালিক শামিম তালুকদারসহ ৮ জনকে আটক করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার খোন্দকার মইনুল হক।
পুলিশ সুপার ঘটনার পরপরই ২০ জনের মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর সকাল ১০টায় তিনি জানান, নিহতের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতাল মর্গ থেকে পুলিশ ১২ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী।
VP Xibon liked this on Facebook.
Das naki ninmo moddo maar das toba ai hal kano
Yusuf Un Nobi Babu liked this on Facebook.
Noor Hossain liked this on Facebook.
Mdsayfur Rahman liked this on Facebook.
Mizanur Rahaman liked this on Facebook.