এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় হতাশ কিশোরগঞ্জবাসীর পাশাপাশ রাজনৈতিক নেতারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে ঘোষণায় কিশোরগঞ্জের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো বলে মনে করছেন তারা। সরকারি দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতারাও জানিয়েছেন এমনই প্রতিক্রিয়া।
সৈয়দ আশরাফুল বিষয়ে সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ উল্লাহ বলেন, ‘তার মতো এমন একজন সৎ. মেধাবী মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা কিশোরগঞ্জবাসী তথা সারাদেশের মানুষের জন্য বড় ক্ষতি।
একই সুরে প্রতিক্রিয়া জানালেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বললেন, ‘একজন দক্ষ, যোগ্য ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়ার পেছনে বড় কোনো অশনি সংকেত আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে।’ তিনি মনে করেন, সরকারের অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের খেসারত হিসেবে এমনটি হয়েছে। তবে, আমাদের কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য ক্ষতি হয়ে গেল।’
সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষও জানিয়েছেন প্রতিক্রিয়া।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক সৈয়দ আশরাফের দপ্তর হারানোর খবরকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকারের হাইকমান্ড থেকে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য নেই। তবে, যেহেতু আশরাফুল ইসলাম দলের সাধারণ সম্পাদক, তাই তিনিও নীতি নির্ধারকদের একজন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নিয়েই এমন কাজটি করেছেন।’
এদিকে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট ভ্রপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক দোলন বাংলামেইলকে বলেন, ‘হয়তো আরো গুরুত্বপূর্ণ কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাকে দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’ তবে জেলার উন্নয়নের ধারা কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফের অব্যাহতিতে কিশোরগঞ্জবাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মনে করছেন কিশোরাগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান। উন্নয়নের ধারায় এর প্রভাব যেন না পড়ে, তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত যখন যেটা হয়, সেটাই আমাদের মেনে নেয়া উচিত। হয়তো, আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।’