একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দায় নিজ কাঁধে নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে অনুরোধ করে জানান, জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে যারা ভর্তি হতে পারেনি তারা আগামী তিন সপ্তাহ কোনো বিলম্ব ফি (লেট ফি) ছাড়াই কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির বাইরে থাকবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘কলেজ ভর্তিতে এই স্মার্টপদ্ধতি এবারই প্রথম নয়। এর আগে বড় বড় কলেজগুলোতে আমরা অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। গত বছর পাঁচশ’র বেশি আসনের কলেজে অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে এবার দেশের সব কলেজ এই প্রক্রিয়ায় আনতে গিয়েই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতার অভাব ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণেই এমনটা হয়েছে। এজন্য ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শ্রদ্ধেয় দেশবাসীর কাছে আমরা দুঃখিত। আমাদের এই ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে আমরা ত্রুটিহীনভাবে এ পদ্ধতি কার্যকর করবো।’
তবে মন্ত্রীর দাবি, অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি চালু করায় ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্যসহ ভর্তি নিয়ে অতীতের সব দুর্ভোগ ও দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে।
একই সঙ্গে নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, ‘চার দফায় ভর্তি নেয়া হবে কলেজে। প্রথম দফায় ভর্তির আবেদন করেছে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আজ (রোববার) পর্যন্ত ভর্তি হতে পেরেছে ৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ কিন্তু এরই মধ্যে ভর্তি হয়ে গেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, এই জটিলতার দায় কে নেবেন? আর এভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্তই বা কে নিয়েছেন?
জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের সবাই মিলেই নেয়া হয়েছে। দায়দায়িত্ব অবশ্যই আমি নিজে নেবো।’
এছাড়া ভর্তি হতে গিয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে- এমন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন ও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান।