ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পর থেকে বাংলাদেশে একটি মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের কথা শোনা যাচ্ছে। ইদানীং আলোচনাটি আরও জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আগাম নির্বাচন হবে। তবে সে নির্বাচনে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের বিএনপি থাকবে না। শূন্যস্থান পূরণ করবে কিছু সুবিধাবাদী রাজনীতিক, যারা বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে বেঈমানি করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সরকারের একজন মন্ত্রীর কথায় কিছুটা আঁচ করা যায়। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “২০১৯ সালের নির্বাচনে বেগম জিয়া থাকবেন না। তিনি নাকি আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে থাকবেন।” আমি ইনু সাহেবের কথাটির কোনো গুরুত্ব বা তাৎপর্য আছে বলে মনে করি না। তিনি বিচারক নন ফলে বিচারের রায় কী হবে তার পক্ষে আঁচ করা অসম্ভব। আর বিচারক হলেও তিনি কখনও আগ বাড়িয়ে বিচারের রায় ঘোষণা করতে পারেন না। অতএব ধরেই নিতে হবে ইনু সাহেব রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন, প্রকারান্তরে যা মূল্যহীন।
প্যাড সর্বস্ব দলের নেতা হিসেবে মহাজোটে যোগদিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়ে তিনি মাঝে মধ্যে অনেক চোখা বক্তব্য দিয়ে হাই কমান্ডের মনোযোগ আকর্ষণে ব্যস্ত। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও শেখ সাহেব সম্পর্কে তার পূর্বেকার বক্তব্য বিবৃতি নিশ্চয়ই জনগণ ভুলে যায়নি। ৩০ হাজার জাসদ নেতাকর্মী হত্যার দায় তিনি একসময় আওয়ামী লীগের উপর বর্তিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে সচেষ্ট ছিলেন। ওই সময়ের পত্র-পত্রিকা খুঁজলে ইনু সাহেবের চোখা চোখা আওয়ামী লীগ বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় সবকিছু অবগত আছেন। সরকারের কর্মকা- গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই বোঝা যায় তারা বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে আইনের প্যাঁচে ফেলে সাজা দিতে চান। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সরকার কিছু কুচক্রীর কুপরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিএনপিকে ধ্বংস করতে ব্যস্ত ও সে লক্ষ্যে অগ্রসরমান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দুটো বেশ জোরেশোরে চালু করেছেন। আমি অনেকবার বলেছি, ট্রাস্ট গঠিত হয় ব্যক্তি উদ্যোগে ও বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা ও দান নির্ভর ট্রাস্ট গঠনে সরকারি অর্থকড়ির সংশ্লি¬ষ্টতা থাকে না।
ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতির কোনো কারণ ঘটে না। এ সম্পর্কে বহু আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সরকার কোন যুক্তির কাছে নতি স্বীকার করতে নারাজ। তারা একগুঁয়েমিভাবে মামলা দুটি এগিয়ে নিচ্ছে। বকশীবাজারে বিশেষ আদালত স্থাপন দূরভিসন্ধিমূলক। দ্রুত বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে দু’বছরের অধিক সাজা দিতে পারলেই যেন সরকার ঝামেলামুক্ত হতে পারবে। বেগম জিয়াকে রেখে ছল-চাতুরি ও প্রতারণা ছাড়া কোনো স্বচ্ছ, অবাধ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া অসম্ভবÑএকথা সরকারি দল ভালো করেই জানে। তাই সরকার সব সময় বেগম জিয়া আতঙ্কে ভোগেন। আর ইনু সাহেবরা একটু বেশি আতঙ্কিত ও ভীত থাকেন। তাই মাঝেমধ্যে আক্রমণাত্মক ও চোখা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের মনকে সান্ত¦না দেন। বেগম জিয়াকে জেলখানায় রেখে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অভিলাস সরকারের ভিতরে কাজ করছে। ২ বছর সাজা হলে বেগম জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং পরবর্তী পাঁচ বছরও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ফলে সরকারের জন্য দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে এবং তা হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা, গ্রেফতার, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন ও বহুমুখী সন্ত্রাসের মাধ্যমে কোণঠাসা করা যাবে। বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার অবর্তমানে বিএনপি নির্জিব, দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু দলে পরিণত হবে এরূপ ভাবনা থেকে সরকারি মহল পরিকল্পনা করে অগ্রসর হচ্ছে। একবার বেগম জিয়াকে ফাঁসাতে পারলে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়া সহজ হবে। প্রশ্ন হলো এতে কী কলঙ্ক মোচন হবে? নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে ২২টি চুক্তি ও অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ৬৫ দফা যৌথ ঘোষণা এসেছে। এতগুলো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হলেও বাস্তবায়ন সহজ হবে না। এসব বাস্তবায়নে অবশ্যই জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকা আবশ্যক। চুক্তি হয় একদেশের জনগণের সাথে অন্য দেশের জনগণের মধ্যে। কারণ জনগণের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা ছাড়া সঠিকভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করে সংসদের বাইরে অবস্থানকারী বিএনপি চেয়ারপাসরনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির গুরুত্ব উপলব্ধি করে সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষৎকারটি দেন। ১৫ মিনিটের একান্ত সাক্ষাৎকারে কী আলোচনা হয়েছে তা কেবল মোদি ও বেগম জিয়াই জানেন। আমরা শুধু অনুমান করতে পারি। তবে অনুমানলব্ধ জ্ঞানকে তথ্য প্রমাণ ছাড়া সঠিক বিবেচনা করা যায় না। আবার তথ্য প্রমাণ উপাদান ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে জ্ঞান নির্মিত হলে কেউ সেই জ্ঞানকে উপেক্ষা বা অস্বীকার করতে পারেন না। মোদি ও বেগম জিয়া কেউ সাক্ষাৎকার বিষয়ে মুখ খোলেননি। সাক্ষাৎকারের পর বেগম জিয়ার বক্তব্য ও বডি ল্যাংগুয়েজ তার সাফল্যের ইঙ্গিতবহ। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মামলা পরিচালনা করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে আমার ধারণা হয়েছে।
এভাবে মা ও পুত্রকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে ৫ জানুয়ারির মতো একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন সেরে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সুদৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করবেন। আমাদের কথা হলো এরূপ নির্বাচন কী কোন ফল দেবে? সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন নেত্রীকে নির্বাচনী মাঠ থেকে বিতাড়িত করে নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ কি তাতে সাড়া দিবে? ৫ জানুয়ারির একদলীয় একপক্ষীয় অংশগ্রহণহীন নির্বাচন করে সরকার যেভাবে আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ হজম করে চলেছে তা আরও তীব্র হবে সন্দেহ নেই। ৩০০ আসনের ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সংসদ নির্বাচনটি তামাশায় পরিণত হয়েছে। ওই নির্বাচনে ৪২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩২টি দল নির্বাচন বর্জন করে। বাকি আসনগুলোতে ৫% থেকে ১০% ভোটার উপস্থিতি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও তামাশায় পরিণত করেছে। সংসদ নির্বাচন পরপর উপজেলা নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করেছে যা দেশ-বিদেশের সকলে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রথম দুধাপের নির্বাচন সরকারি দলের পরাজয় বেগম জিয়ার বিজয়কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
পরবর্তী ধাপগুলোর নির্বাচনকে আর নির্বাচন বলা যায় না। বিরোধী দলের বিজয়কে জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে যার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী এদেশের মিডিয়াগুলোর সাথে জনগণ। বিরোধীদল তথা বিএনপির বিজয়কে ছিনিয়ে নিয়ে যতই হম্বি তম্বি করা হোক না কেন জনগণ বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি। সর্বশেষ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী তামাশা জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক মহল প্রত্যক্ষ করেছে। নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি ও চৌর্যবৃত্তি প্রত্যক্ষ করে দেশ-বিদেশের সকলে ছিঃ ছিঃ করেছে। বহুল প্রচারিত প্রথম আলোর ‘আওয়ামী-লীগ বিজয়ী হলেও গণতন্ত্র পরাজিত হয়েছে’ প্রতিবেদনটি বাস্তব ঘটনার প্রতিফলিত হয়েছে। ইইউ, জাতিসংঘ, আমেরিকাসহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক জালিয়াতি লক্ষ করে তদন্তের আহ্বান জানায়। সরকার অবশ্য ক্ষমতাধর এসব প্রতিষ্ঠান ও দেশের মতামতকে উপেক্ষা করে চলেছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক মহল সরকারের প্রতি নাখোশ।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে। কদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নেতিবাচক। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রভৃতি বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে। তর্থাৎ বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা পশ্চিমা বিশ্ব পর্যবেক্ষণে রেখেছে। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, বিচার ব্যবস্থায় ধস, প্রশাসনে স্থবিরতা, মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত, গুম, খুন, মামলা, হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন ও গ্রেফতার বাণিজ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে কলুষিত করেছে। ৯০ পরবর্তীতে গণতন্ত্র যেভাবে বিকাশিত হতে শুরু করেছিল তা আজ লুণ্ঠন করা হয়েছে।
লুণ্ঠিত গণতন্ত্র নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা যত বাগাড়ম্বর করুন না কেন আন্তর্জাতিক মহল তাতে সন্তুষ্ট নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট গত ২৫ জুন রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে বিচার বিহর্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সরকারি কর্মকর্তাসহ কিছু ব্যক্তি মানবাধিকার লংঘন করছেন তাই নয়, ভুক্তভোগী অনেকেই বিচার চাইতেও পারছেন না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির বর্জন ও অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের বিজয়ের কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ওই নির্বাচনকে বিতর্কিত বলেছে। বর্তমান সরকার যে জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে না তা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পশ্চিমা বিশ্বও মনে করে। শুধু ভারতের কংগ্রেস সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিল। বর্তমান মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নেতা হিসেবে নিশ্চয় এরূপ একটি জনগণের ম্যান্ডেট বিহীন সরকারকে সমর্থন করবে না।
তিনি চাইবেন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবায়ন একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার করুন। বেগম জিয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নিশ্চয়ই একটি সত্যিকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থার অনুরোধ করেছেন। মোদিও ভালো করে জানেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধিত্ব করে। যেকোন এক দল ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এবং তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না। বিএনপি নেত্রী অন্তত অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর প্রভৃতি সিটি নির্বাচনে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে উপজেলা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে একই ফল হতো। সরকারি দল জোর করে নির্বাচনে বিজয়ী হতে গিয়ে যেসব অপকর্ম করেছে তা দেশ বিদেশের রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা অবগত আছেন।
একজন প্রাদেশিক নেতা থেকে উঠে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনীতির নারী নক্ষত্র অবগত আছেন বলে অনুমান করা যায়। তিনি ভালো করে জানেন, বাংলাদেশের সাথে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গেলে পড়ন্ত ভাবমর্যাদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে শুধু সম্পর্ক রাখলেই চলবে না। এদেশের জনগণের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। নরেন্দ্র মোদির সফরের পর বেগম জিয়া অনেকখানি নড়ে চড়ে বসেছেন। তার বডি ল্যাংগুয়েজ বলে দিচ্ছে তিনি অত্যন্ত খোশমেজাজে আছেন। সরকার যে খুব ভালো অবস্থায় নেই তা সকল রাজনৈতিক বোদ্ধারা জানেন।
আগাম নির্বাচনের তাগিদ ও আহ্বান আর উপেক্ষা করা যায় না। সে কারণে সরকারি ও বিরোধী উভয় শিবিরে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করে। নেতানেত্রীদের নির্বাচনী এলাকায় যাবার নির্দেশ বলে দিচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন আসন্ন। কুলদীপ নায়ারের ভাষায় শেখ হাসিনার পড়ন্ত ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধারে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আবশ্যক। এটি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বাস্থ্য সবল করতে অবশ্যই অবদান রাখবে। মধবর্তী নির্বাচন হবেই তবে ১৬ সালে হবে না ১৭ সালের মাঝামাঝি হবে সময়ই তা বলে দেবে। বেগম জিয়ার অংশগ্রহণে সেই নির্বাচন অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য হবে। তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গেলে তা হবে ৫ জানুয়ারির মতো আর একটি কলঙ্কজনক ও তামাশাপূর্ণ নির্বাচনী নাটক।সুত্রঃ ইনকিলাব
আতিক/প্রবাস