হে আল্লাহ, আমাদের যারা ফাও মনে করে তাদের তুমি ধ্বংস করে দাও : গান ছেড়ে এবার মোনাজাত

সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী নানা কারণে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত হলেও তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সিলেটে বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা মঞ্চে প্রকাশ্যে ধূমপান করে আলোচনায় আসেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। এতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হয়। এরপর নিজের মেয়ের বিয়েতে হেমন্তে মুখোপাধ্যায়ের গান গেয়ে আলোচনায় আসেন। তবে শুধু বিয়ের অনুষ্ঠানেই তিনি গান গাননি। মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি ঢাকা-সিলেট, তার জন্মস্থান মৌলভীবাজারে প্রায় অনুষ্ঠানেই দর্শকদের গান শুনিয়ে মাতিয়ে তোলেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি আঞ্চলিক ভাষায় গান করেন। তবে, ইতোপূর্বে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভা-সমাবেশে গান পরিবেশন করতে দেখা গেলেও এবার নিজ উদ্যোগে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে দোয়া পড়িয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। বুধাবার রাজধানীর ৩৪ নম্বর মিন্টু রোডের নিজ বাসভবন প্রাঙ্গণে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন হাইকোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম। এরপর সূরা ফাতেহা এবং দুরুদ পাঠ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নিজেই মোনাজাত পড়াতে শুরু করেন। মোনাজাতে তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের যারা ফাও মনে করে এবং ফাও বলে তাদের তুমি ধ্বংস করে দাও। যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ মারে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তাদেরও ধ্বংস করে দাও।’
মোনাজাতে তিনি আরো বলেন, ‘হে আল্লাহ, একাত্তরে যারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে সেসময় আমরাও তাদের হত্যা করেছি, সে জন্য তুমি আমাদের ক্ষমা করে দিও। সেসব হত্যাকে তুমি হত্যা হিসেবে দেখো না।’

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ সম্মানিত লোকদের সম্মানের আসনে বসান। আমাকে আল্লাহ অনেক সম্মান দিয়েছেন। আমি সৈয়দ বংশের ছেলে, সমাজে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি।’ সেজন্য তিনি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর সবার শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া শেষ করেন মন্ত্রী।
ইফতার চলাকালে মহসিন আলী নিজেই মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ইফতার করে আপনারা কেউ চলে যাবেন না। আপনাদের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছে, মেজবান খেয়ে যাবেন।’
এ সময় মন্ত্রীর ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, জাসদের সংসদ সদস্য মাইনউদ্দীন খান বাদল, সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত, কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের প্রমুখ। এছাড়াও শিশু সদনের এতিম, সাংবাদিক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *