দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার ফিফার সাত কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটি। বুধবার সুইজারল্যান্ডের ফেডারেল জাস্টিস অফিসে (এফওজে) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২৭ মে মাসে জুরিখের একটি অভিজাত হোটেল থেকে ওই সাত কর্মকর্তাসহ ১৪ ফিফা কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তারা সুইস পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
অপরাধিদের বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুইজরাল্যান্ডের ‘বন্দী প্রত্যার্পণ’ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ফিফার সাত কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর বিষয়ে এখন সুইস বিচার বিভাগে শুনানি হবে। শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুইজারল্যান্ডের পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জাস্টিস অফিস।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা কিংবা তাদের আইনজীবীরা এ শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য ১৪ দিন সময় পাবেন। তবে ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ সাপেক্ষে’ শুনানিতে হাজির হওয়ার এ সময় বাড়ানো হতে পারে। শুনানির মাধ্যমে আগামী ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই’ তাদের প্রত্যার্পণ বিষয়ে রায় দেবে সুইস বিচার বিভাগ।
তবে সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট বা অপরাধ আদালত অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে ‘রুলিং’ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আর তেমনটি হলে ওই কর্মকর্তাদের প্রত্যার্পণ বা এ বিষয়ে শুনানিতে বিলম্ব হতে পারে।
২৭ মে গ্রেফতার হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সহ-সভাপতি জেফরি ওয়েব; বাকী ছয়জনও ফিফার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। ওয়েব ফিফার উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রধান ছিলেন। সত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, জালিয়াতি, ঘুষ আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজের অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এসব কর্মকর্তা ১৯৯০ সাল থেকে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থের লেনদেন করেছেন। অপরাধগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত হওয়ায় তাদেরকে স্বল্প সময়ের মধ্যে সেদেশে প্রত্যর্পণ করা হবে বলে জানিয়েছিল সুইজারল্যান্ডের বিচার বিভাগ। সূত্র: বিবিসি, এএফপি