লতিফের মুক্তিতে প্রমাণ করে সরকার নাস্তিকদের পক্ষে – ইসলামী সংগঠন

রাসূল (সা.) ও তাবলীগ জামাত নিয়ে কটাক্ষকারী ও স্বঘোষিত মুরতাদ আবদুল লতিফকে জামিনে মুক্তি দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশ বিক্ষুব্ধ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা লতিফের মুক্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছেন। মুরতাদ লতিফের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সমাবেশে প্রতিবাদ সভা ও বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার মুরতাদ লতিফকে জামিনে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করে এদেশের শতকরা ৯৫% মুসলিম নাগরিকের সাথে প্রতারণা করেছে। লতিফকে মুক্তি দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। তারা বলেন, ট্রাইব্যুনাল গঠন করে মুরতাদ লতিফের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, সরকার স্বঘোষিত মুরতাদ লতীফকে পবিত্র রমজান মাসে মুক্তি দিয়ে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করেছে এবং নবীর (সা.) দুশমন নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, অবিলম্বে মুরতাদ লতীফ সিদ্দিকীেেক গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- প্রদান করতে হবে অন্যথায় দেশের ঈমানদার তৌহিদী জনতা তাদের নবীর (সা.) ইজ্জত রক্ষার্থে প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত দিতে প্রস্তুত। নবী (সা;) এর মুরতাদ লতিফ প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াবে আর তাওহীদি জনতা চেয়ে থাকবে তা হবে না। কারণ নবীর (সা.) ইজ্জত রক্ষা করা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। সুতরাং ৯০% মুসলমানের দেশে নাস্তিক মুরতাদরা ইসলাম ও মহানবী সা. এর বিরুদ্ধে কথা বলবে আর সরকার তাদেরকে সহযোগিতা করবে তা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তিনি গতকাল মুরতাদ লতিফকে গ্রেফতারের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন।

মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ড. জি এম মেহেরুল্লাহ অফিস ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন ইউসুফ,সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা আতিক উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কামালুদ্দীন ফারুকী, হাফেজ শামসুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ সাদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল আলম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলনইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বঘোষিত মুরতাদ আব্দুল লতিফকে জামিন দিয়ে সরকার নিজেদের উপর দায়িত্ব তুলে নিলেন।

এতে করে সরকারকেই দায়দায়িত্ব নিয়ে জনতার কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। নাস্তিক মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশের পক্ষে বিশ্বের সকল মুসলমানরা আজ ঐক্যবদ্ধ। সরকার ইসলামী জনতার সেন্টিমেন্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে নিজেদের জন্য সর্বনাশা বিপদ ডেকে আনছে। অবিলম্বে তার জামিন বাতিল করে পুনরায় গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি দাড় করাতে হবে। অন্যথায় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনায় মুসলমানরা রমজান মাসেও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। কর্মসুচী : ১৫ রমজান দেশব্যাপী বিক্ষোভ ১৭ রমজান ঢাকা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রধান অতিথি থাকবেন। ১৭ রমজান সমাবেশ থেকে আরো কর্মসুচী আসতে পারে।

ইশা ছাত্র আন্দোলনস্বঘোষিত নাস্তিক ও মুরতাদ গণমানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টির উস্কানী দাতা, লতিফ সিদ্দিকীর জামিনের মুক্ত হওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। গতকাল বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম এর উত্তর গেটে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোরন ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি এইচ এম কাওছার আহমাদ এর সভাপতিত্বে মিছিল পূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত আন্দোলন এর সেক্রেরেটারী জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, সরকার মুরতাদ লতিফকে জামিন দিয়ে আবারও প্রমান করলো যে তিনি নাস্তিক মুরতাদ এর পক্ষ অবলম্বন করেছে। সরকার কৌশলে দুই দফায় ১৭টি মামলায় জামিনে মুক্তি দিয়ে সরকারের অবস্থান মুরতাদদের পক্ষে বলে প্রমাণ করেছে। প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক এটি এম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আ. লতিফকে অনতিবিলম্বে পুনঃগ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। আর যদি পুনঃ গ্রেফতার করা না হয়, টালবাহানাকরে তাহলে পবিত্র রমজান মাসে বদরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন রূপ নেবে বলে হুঁশিয়ারী দেন।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এর কেন্দ্রীয সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. আজিজুল হক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহা. সাইফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আ হ ম আলাউদ্দিন, দফরত সম্পাদক এস এম এমদাদুল্লাহ, কেন্দ্র ও নগর নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।ইসলামী ঐক্যজোট স্বঘোষিত মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে আগামী শুক্রবারের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে, আগামী বাদ জুমা ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দেশব্যাপী হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিসে শুরার এ কর্মসূচি দেয়া হয়।শুরার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, আমরা দেশে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা দেখতে চাই না। ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী, আল্লাহ ও রাসূলের অবমাননাকারী কুলাঙ্গার লতিফদের প্রতিরোধ করতে শান্তিপ্রিয় মানুষ প্রস্তুত আছে। নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে ইসলামী বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন না করা হলে, চরম নাস্তিক্যবাদী জঙ্গিদের কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিস্ফোরণ ঘটাতে আগামী জুমাবার প্রতিটি মসজিদ থেকে বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করে ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে লালবাগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুরার সভায় বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আবদুর রকীব অ্যাডভোকেট, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মুফতী মুহাম্মদ তৈয়্যেব হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করীম, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল প্রমুখ।ইসলামী ছাত্র খেলাফত ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ছাত্রনেতা মোঃ খোরশেদ আলম মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর জামিনে মুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকীর মত যারা আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে বিদ্বেষের অনল ছড়িয়ে দেয় তারাই প্রকৃত জঙ্গীবাদী। এসব জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাশ করতে হবে। অন্যথায় এদেশের রাসূলপ্রেমিকরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তির প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্র খেলাফত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মোঃ খোরশেদ আলম এসব কথা বলেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, মতিউর রহমান, মহিউদ্দীন, আমিনুলাহ, মাহমুদুল হাসান শাহেদী, ইরফান, আব্দুল মুমিন প্রমুখ। সমাবেশের পূর্বে লালবাগ চৌরাস্তা থেকে ঢাকেশ্বরী রোড, আজাদ মাঠ, ঘোর-এ-শহীদ এলাকা হয়ে আজিমপুর এতিমখানার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও দুআর মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। জাতীয় ইসলামী যুব পরিষদ বাংলাদেশজাতীয় ইসলামী যুব পরিষদ বাংলাদেশ-এর আহবায়ক মাওলানা জুনায়েদ গুলজার ও সদস্য সচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রায় ২৬টি মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন ও তার নিরাপদে মুক্তিলাভ প্রমাণ করে সরকার ইসলাম বিরোধী শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধের চেয়ে জঘণ্য হলো ধর্মাপরাধ। যুদ্ধাপরাধের জন্য যদি বিচার হতে পারে ধর্মাপরাধের বিচার কেন হবে না?

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি আলহাজ¦ এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর, সাধারন সম্পাদক এস এম আবদুল করিম তারেক, উত্তর জেলা সভাপতি আলহাজ¦ মাওলানা মুছা আল-কাদেরী ও সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী ও দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ¦ কাজি জসিম উদ্দীন ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক স.ম. শহীদুল হক ফারুকী বলেন, সরকার স্বঘোষিত মুরতাদ গণধিকৃত ও বহিস্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দীকীকে জামিন দিয়ে এদেশের কোটি-কোটি ধর্মপ্রান মুসলমানের প্রাণের দাবিকে অগ্রাহ্য ও অসম্মান করেছে। সরকার যদি মনে করে এদেশের সিংহভাগ জন-গোষ্ঠির ধর্ম-বিশ^াস ঈমান ইসলামের উপর আঘাত দিয়ে এবং তাদের ঈমানী দাবীর প্রতি কোন প্রকারের সম্মান প্রদার্শন না করেও এদেশের ক্ষমতায় অধিষ্টিত থাকা যায়, তাহলে নিশ্চিয় তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। ইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা নেতৃবৃন্দ অনতি বিলম্বে স্বঘোষিত মুরতাদ লতিফ ছিদ্দিকীকে পুনরায় গ্রেফতার করে সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদ- প্রদানের জোর দাবি জানান।

খেলাফত মজলিসখেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, মুরতাদ আবদুল লতিফকে দিয়ে সরকার তাওহিদী জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সাথে সাথে এ বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে এটা সরকারের মোনাফিকি চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইসলামের অবমাননা করে কুখ্যাত তসলিমা নাসরিন, দাউদ হায়দাররা এদেশের মাটিতে টিকতে পারেনি। ইসলামী ছাত্র সেনাপবিত্র রামজানুল মোবারক মাসে নাস্তিক কুলাঙ্গার লফিত সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ার প্রতিবাদে ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা সংগঠনের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম শাহিদুল আলম রিজভী বলেন, সরকার স্বঘোষিত নাস্তিক কুলাংগার লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি দিয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে প্রতারণা করেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার ফলে সংবিধান অনুযায়ী তার উপযুক্ত বিচার হবার কথা। কিন্তু সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছ। তাই শীঘ্রই ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানান।

গতকাল সোমবার বাদ আসর ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগরীর সভাপতি সৈয়দ আবু ছায়িদ সাফিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেখ ফরিদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক ঢাবি সভাপতি মোহাম্মদ হামিদ পারভেজ, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আবু সায়হাম সুজন, ঢাকা মহানগীর সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুব উল্লাহ রাজ, সদস্য খালেদ মোশাররফ, আমানত শাহ, দিদার, হেলাল, ওয়াসিম, তুহিন প্রমুখ।হাফেজ্জী হুজুর রিচার্স একাডেমিহাফেজ্জী হুজুর বিচার্স ফোরামের এর চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে রাসূল (সা.) ও ইসলাম বিদ্বেষীদের পক্ষ নিয়েছে। তিনি বলেন, ৯৬% ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে, ইসলাম, মহানবী (সা.)কে নিযে কটাক্ষমূলক মন্তব্য করে পার পেতে থাকে তাহলে আগামীতে ইসলাম বিদ্বেষীদের কটাক্ষ আরো বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, রুশদীও তসলিমাকে বাংলার জমীনে মাথা তুলতে দেয়া হয়নি, মুরতাদ লতিফকেও দেয়া হবে না।সোচ্চার চট্টগ্রামআবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তির দেয়ার প্রতিবাদে সোচ্চার চট্টগ্রাম। গতকাল (মঙ্গলবার) বিভিন্ন সংগঠন পবিত্র রমজান মাসে তাকে মুক্তি দেয়ার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত খোদাদ্রোহী-নবীদ্রোহী-ইসলাম বিদ্বেষী সাবেক মন্ত্রী মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

এক বিবৃতিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত এর প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন ও মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, রোজার মতো পবিত্র মাসে ইসলাম দ্রোহী মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তিতে দেশের আপামর জনতা খুবই ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। তারা মুরতাদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে পুনরায় গ্রেফতারপূর্বক ধর্মদ্রোহীতার দায়ে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়ার দাবি জানান। ইসলামী আন্দোলনইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শ্রম ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মাতব্বর, নুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ আল-ইকবাল এক বিবৃতিতে আত্মস্বীকৃত খোদাদ্রোহী আবদুল লতীফ সিদ্দীকীর নিন্দার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করে বলেছেন, বাংলার মুক্ত আকাশ এবং পবিত্র মাটিতে ধর্মবিদ্বেষী আবদুল লতীফকে মেনে নেয়া হবে না।

ইসলামিক ফ্রন্টইসলামিক ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবদুল করিম তারেক, উত্তর জেলা সভাপতি মাওলানা মুছা আল-কাদেরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ জসিম উদ্দীন তৈয়্যবী ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি কাজি জসিম উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক স ম শহীদুল হক ফারুকী এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, স্বঘোষিত মুরতাদ গণ-ধিকৃত আবদুল লতিফ সিদ্দীকীকে জামিন দিয়ে এদেশের কোটি-কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রাণের দাবিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এতে এদেশের মানুষ বুঝে গেল তাকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে নয় বরং তখনকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইসলামিক ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে স্বঘোষিত মুরতাদ লতিফ ছিদ্দিকীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- প্রদানের জোর দাবি জানান।

আতিক/প্রবাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *