ঢাকা: জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ১৭ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ায় সোমবার (২৯ জুন) বিকেল পাঁচটায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার নেছার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ২৩ জুন ১০ মামলায় ও গত ২৬ মে ৭ মামলায় লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দেন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করেন তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশ ও দেশের বাইরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনগুলো সাবেক এই মন্ত্রীর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৭ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে সরকার মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ করে। আওয়ামী লীগও তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যপদ ধেকে বহিষ্কার করে।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৫ নভেম্বর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারা মোতাবেক ১৭ মামলায় জামিন ও মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকী। বাকি ১০ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় জামিন চাননি তিনি।
আবেদনে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী দেশের বাইরে সংঘটিত অপরাধ নিজ দেশে বিচার করতে হলে মামলা দায়েরের আগে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এসব মামলার ক্ষেত্রে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি