ঢাকা: বাংলাদেশের কাছে টানা দুই ম্যাচ হেরে মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড় হয়েছিল ভারত থেকে সিরিজ কাভার করতে আসা একঝাক ক্রীড়া সাংবাদিকের। প্রেস বক্সে তাদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না।বাংলাদেশের কাছে নাস্তানাবুদ! এই মুখ তারা কোথায় লুকাবে?
মাঠের লড়াইযে হেরে বিব্রতকর ভারতীয়রা বাংলাদেশের বিপক্ষে অন্য থেলা শুরু করে দিলেন।নাটক সাজানো হলো।যার কেন্দ্রীয় চরিত্র দেওয়া হলো সুধীর গৌতম নামের এক ভারতীয় সমর্থক এবং শচীন ভক্তকে, যিনি ধোনিদের সঙ্গে সারা বিশ্ব সফর করে বেড়ান, তাকে নাকি স্টেডিয়ামের বাইরে মারধর করা হয়েছে।
ভারতীয় সমস্ত মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করলো এই বানানো নাটকটা। ম্যাচ শেষে এমন একটা বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ একজন বাংলাদেশী সাংবাদিকের চোখেও তা এলো না! বিস্মিত বাংলাদেশী সাংবাদিকরা।রহস্য উদঘাটনে সফল হলেন তারা।সুধীরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আসলে পুরো ঘটনাই ভূয়া। বাংলাদেশকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই এমন নাটক সাঁজিয়ে রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। আর সেই নাটক মোক্ষম সময়ে মঞ্চস্থ করা হয়।তবে সত্যটা বেরিয়ে আসতে বেশী দেরী হয়নি।
অপপ্রচার চালানো হলো মাশরাফি এবং মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে।প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজকে ধাক্কা মেরে রীতিমত ভিলেন বনে যান ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই ধোনিকে আউট করে প্রতিশোধটা নিয়ে ফেলেন মুস্তাফিজ।৪৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতকে গুড়িয়ে দেন এই তরুণ ফাস্ট বোলার।স্বরণকালের সেরা লজ্জাটা এদিন পেলে ভারতীয়রা।
পরের দিন কলকাতার মিডিয়াগুলো প্রচার করলো, রাতে নাকি ধোনির রুমে মুস্তাফিজকে নিয়ে যান মাশরাফি বিন মোর্তুজা। মুস্তাফিজ যেন আইপিএলে খেলতে পারে সে জন্য নাকি ধোনিকে অনুরোধ করে আসেন মাশরাফি।
কলকাতার মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় এমন খবরে হতবাগ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা।ধোনির রুমে যাওয়ার ব্যাপারটা সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশকে নিয়ে কলকাতার মিডিয়ার নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নতুন নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের রিপোর্ট কনোরকম করে সিঙ্গেল কলামে দিয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকা। যার শিরোনাম ছিল ‘ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম জয়’। হোয়াইট ওয়াশের খবরও সিঙ্গেল কলামে ছোট্রকরে দিয়েছিল কলকাতার পত্রিকাগুলো।
সেই তাদের কাছ থেকে কিইবা আসা করা যায়? বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে তারা যে কবে ইতিবাচক হবে?