টাইগারদের টার্গেট ৩১৮ রান

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শিখর ধাওয়ান, মহেন্দ্র সিং ধোনি, আম্বাতি রাইডু আর সুরেশ রায়নার ব্যাটে ভর করে সফরকারীরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান সংগ্রহ করেছে।

জয় নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে যথারীতি আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের করা দলীয় সপ্তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। প্রথম দুই ওয়ানডেতেও মুস্তাফিজের বোলিং তোপে রোহিত আউট হয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে রোহিত ২৯ বলে দুই চার আর এক ছয়ে ২৯ রান করেন।

দলীয় ২০তম ওভারে আক্রমণে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার অসাধারণ ঘূর্ণিতে আউট হন ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি। নিজের প্রথম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন সাকিব। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে কোহলি করেন ৩৫ বলে ২৫ রান।

‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়াতে লড়তে থাকা ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে ফেরান মাশরাফি। দলীয় ২৭তম ওভারে মাশরাফির বলে নাসির হোসেনের তালুবন্দি হন ধাওয়ান। আউট হওয়ার আগে তিনি ৭৫ রান করেন। টাইগারদের অন্যতম ফিল্ডারে পরিণত হওয়া নাসির দারুণ ভাবে ধাওয়ানের ক্যাচটি লুফে নেন। ধোনির সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়া ধাওয়ান ৭৩ বলে দশটি চার হাঁকান।

৪১তম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিতে চেয়েছিলেন আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত ৩৪ রানের মাথায় সানির হাতে জীবন ফিরে পান রাইডু।

দলীয় ১৫৮ রানে টপঅর্ডারের তিন উইকেট খুঁইয়ে ফেলা সফরকারীরা ‘বাংলাওয়াশ’ এড়াতে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে থাকে। ৪৪তম ওভারে মাশরাফির শিকারে সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৪ রান করা আম্বাতি রাইডু। ধোনির সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন রাইডু। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বল মোকাবেলা করেন তিনি।

এরপর মাশরাফির তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনি। দলীয় ৪৬তম ওভারে আক্রমণে এসে টাইগার দলপতি ব্যক্তিগত ৬৯ রান করা টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ককে মুস্তাফিজের তালুবন্দি করেন। আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৯তম অর্ধশতক হাঁকান ধোনি। ৭৭ বল মোকাবেলা করে ছয় চার আর একটি ছক্কা হাঁকান ভারত অধিনায়ক।

শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে সুরেশ রায়না ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। রায়নাকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তেজনা ছড়ানো এ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সফরকারী ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টাইগাররা ‘বাংলওয়াশ’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামে।

টাইগারদের বোলিং সূচনা করতে আসেন ক্রিকেট বিশ্বের বোলিং চমক মুস্তাফিজুর রহমান। আর ভারতের ব্যাটিং উদ্বোধনের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট হাতে নামেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই টাইগাররা সিরিজ নিশ্চিত করেছে। কাগজে-কলমে এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। বদলে যাওয়া টাইগারদের এবারের লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়াকে ‘বাংলাওয়াশ’ উপহার দেওয়া।

তবে, এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় (২-০) করে তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলছে না স্বাগতিকরা। ২-০ তে সিরিজ হারলে দল তৃতীয় ম্যাচ জয়ের জন্য যেভাবে মরিয়া হয়ে খেলতো, সে মনোভাব নিয়েই তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান।

ভারত দল: শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আম্বাতি রাইডু, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, উমেশ যাদব, স্টুয়ার্ট বিন্নি, আকসার প্যাটেল, ধাওয়াল কুলকার্নি।টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শিখর ধাওয়ান, মহেন্দ্র সিং ধোনি, আম্বাতি রাইডু আর সুরেশ রায়নার ব্যাটে ভর করে সফরকারীরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান সংগ্রহ করেছে।

জয় নিয়ে দেশে ফিরতে মরিয়া সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে যথারীতি আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজের করা দলীয় সপ্তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। প্রথম দুই ওয়ানডেতেও মুস্তাফিজের বোলিং তোপে রোহিত আউট হয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে রোহিত ২৯ বলে দুই চার আর এক ছয়ে ২৯ রান করেন।

দলীয় ২০তম ওভারে আক্রমণে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার অসাধারণ ঘূর্ণিতে আউট হন ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি। নিজের প্রথম ওভারে এসেই বাজিমাত করেন সাকিব। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে কোহলি করেন ৩৫ বলে ২৫ রান।

‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়াতে লড়তে থাকা ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে ফেরান মাশরাফি। দলীয় ২৭তম ওভারে মাশরাফির বলে নাসির হোসেনের তালুবন্দি হন ধাওয়ান। আউট হওয়ার আগে তিনি ৭৫ রান করেন। টাইগারদের অন্যতম ফিল্ডারে পরিণত হওয়া নাসির দারুণ ভাবে ধাওয়ানের ক্যাচটি লুফে নেন। ধোনির সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়া ধাওয়ান ৭৩ বলে দশটি চার হাঁকান।

৪১তম ওভারে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিতে চেয়েছিলেন আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত ৩৪ রানের মাথায় সানির হাতে জীবন ফিরে পান রাইডু।

দলীয় ১৫৮ রানে টপঅর্ডারের তিন উইকেট খুঁইয়ে ফেলা সফরকারীরা ‘বাংলাওয়াশ’ এড়াতে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে থাকে। ৪৪তম ওভারে মাশরাফির শিকারে সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৪ রান করা আম্বাতি রাইডু। ধোনির সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন রাইডু। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বল মোকাবেলা করেন তিনি।

এরপর মাশরাফির তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনি। দলীয় ৪৬তম ওভারে আক্রমণে এসে টাইগার দলপতি ব্যক্তিগত ৬৯ রান করা টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ককে মুস্তাফিজের তালুবন্দি করেন। আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৯তম অর্ধশতক হাঁকান ধোনি। ৭৭ বল মোকাবেলা করে ছয় চার আর একটি ছক্কা হাঁকান ভারত অধিনায়ক।

শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে সুরেশ রায়না ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। রায়নাকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তেজনা ছড়ানো এ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সফরকারী ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টাইগাররা ‘বাংলওয়াশ’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামে।

টাইগারদের বোলিং সূচনা করতে আসেন ক্রিকেট বিশ্বের বোলিং চমক মুস্তাফিজুর রহমান। আর ভারতের ব্যাটিং উদ্বোধনের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট হাতে নামেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই টাইগাররা সিরিজ নিশ্চিত করেছে। কাগজে-কলমে এগিয়ে থাকা ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে আর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাশরাফি বাহিনী। বদলে যাওয়া টাইগারদের এবারের লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়াকে ‘বাংলাওয়াশ’ উপহার দেওয়া।

তবে, এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় (২-০) করে তৃপ্তির ঢেঁকুর গিলছে না স্বাগতিকরা। ২-০ তে সিরিজ হারলে দল তৃতীয় ম্যাচ জয়ের জন্য যেভাবে মরিয়া হয়ে খেলতো, সে মনোভাব নিয়েই তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, আরাফাত সানি, মুস্তাফিজুর রহমান।

ভারত দল: শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আম্বাতি রাইডু, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, উমেশ যাদব, স্টুয়ার্ট বিন্নি, আকসার প্যাটেল, ধাওয়াল কুলকার্নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.