সিরিয়ায় সম্প্রতি সোমবার দুই কিশোরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে দ্য ইসলামিক স্টেট (আইএস)।রোমজান মাসে দুপুরে রোজা ভেঙে খাবার খাওয়ার অপরাধে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউমেন রাইটস’য়ের প্রধান রামি আব্দেল রাহমান দেইর এজোর প্রদেশের মায়াদেন গ্রামের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, রোজা না রাখার অপরাধে ওই এলাকার ১৮ বছরের কম বয়সী দুই কিশোরকে ফাঁসি দিয়েছে আইএস। তাদের দুপুর পর্যন্ত রশি দিয়ে একটি কাঠের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিল।
তিনি আরো জানিয়েছেন, রোজার দিনে খাবার খাওয়ার সময় তারা হাতে নাতে ধরা পড়ার পর তাদের ফাঁসি দেয়া হয়। হত্যার পর লাশের গায়ে একটি প্ল্যাকার্ড জুড়ে দেয়া হয়, যাতে লেখা লেখা ছিল,‘ধর্মীয় কোন যুক্তি ছাড়াই তারা রোযা ভঙ্গ করেছে।’
সিরিয়ায় বৃহস্পতিবার রমযান শুরু হয়েছে। মুসলমানরা রমজানের এক মাস ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার গ্রহন, পানাহার, ধুমপান এবং যৌন সঙ্গ থেকে বিরত থাকেন।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস সিরিয়া এবং ইরাকে তাদের দখলকৃত অংশ নিয়ে ‘খিলাফাত’ ঘোষণা করেছে। এখানে তারা ইসলামি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে থাকে। শরিয়াহ আইন লঙ্ঘণের অপরাধে তারা শিরচ্ছেদ,পাথর নিক্ষেপ, বেদম প্রহার এবং ক্রুশে ঝোলানোর মত পাশবিক শাস্তি দিয়ে থাকে।