ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদী থেকে বিজিবির এক সদস্যকে অপহরণের ৫ দিনেও তাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় উদ্বিগ্নতার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। একইসঙ্গে মিয়ানমার শিগগিরই পতাকা বৈঠকে রাজি হবে বলেও আশা করছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘অপহৃত বিজিবির নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে এখনও কোনো সাড়া দেয়নি মিয়ানমার। তবে তাদের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। বার বার আহ্বান করার পরও মিয়ানমার সাড়া না দেয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। তবে মিয়ানমার শিগগিরই পতাকা বৈঠকে রাজি হবে বলে আশা করছি।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বুধবার ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে জড়ায় মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। বিজিপি সদস্যরা বিজিবির একজনকে গুলিবিদ্ধ করে রাজ্জাককে তুলে নিয়ে চলে যায় নিজেদের এলাকায়। এরপর থেকেই রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না মিয়ানমার।
আসাদুজ্জামান খান বলছেন, ‘মিয়ানমারে সামরিক শাসন চলছে। তাই কূটনৈতিক যোগাযোগে একটু সময় লাগছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্পর্ক খারাপ না করেই আলোচনার মাধ্যমেই রাজ্জাককে শিগগিরই ফিরে পাওয়া যাবে।’
রাজ্জাককে ফেরত দেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের কাছ থেকে আশাব্যঞ্জক কোনো খবর না পাওয়া গেলেও এরইমধ্যে বিজিপির ফেসবুক পাতায় রাজ্জাকের দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে; যেখানে দেখা যাচ্ছে- বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই সদস্যের নাকে রক্ত। আরেকটি ছবিতে রাজ্জাককে হাতকড়া পড়িয়ে আসামির মতো দাঁড় করিয়ে রাখতেও দেখা গেছে।
রাজ্জাককে অপহরণের পর ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরইমধ্যে গতকাল বাবা দিবসে অপহৃত রাজ্জাকের স্ত্রী আসমা বেগম ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। তবে রাজ্জাককে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা তার পরিবার নতুন এই সদস্যের আগমনের আনন্দে ভাসতে পারেনি, বরং প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবার।